নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আল-মোস্তফা গ্রুপের কর্নধার মোস্তফা কামালের শেল্টারে সোনারগাঁ বিএনপি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও আঃলীগের একাধিক সুত্রে জানাযায়,গত ২৯ এপ্রিল ও গত মার্চ মাসের ৩০ তারিখ আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি ইফতার ও আহবায়ক কমিটি গঠন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আর এই অনুষ্ঠানে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আল মোস্তফা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামাল তার ফ্যাক্টরীতে সোনারগাঁ বিএনপিকে অনুষ্ঠান করতে দিয়েছেন।
এতে করে গোপনে আল মোস্তফার সহযোগিতা পেয়ে বিএনপি সক্রিয় হয়ে উঠছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশ কে উন্নয়ন শীল রাষ্ট্রে পরিনত করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন তখনই বিএনপি জামায়াত জোট উন্নয়নের যাত্রা বাঁধা গ্রস্থ করতে জালাও পোড়াও আন্দোলন করে।যানবাহনে অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করে।প্রধানমন্ত্রী কঠোর হস্তে বিএনপি জামায়াত জোটের আন্দোলন কে দমন করেন।

সারাদেশে বিএনপি জামায়াত জোট মাথাচাড়া দিতে ব্যর্থ হলেও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি আল মোস্তফার শেল্টারে দিব্যি নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এতে করে সোনারগাঁওয়ে আগামীতে সরকার বিরোধী আন্দোলন দমন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জানা যায়,গত ২৯ এপ্রিল সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতা রফিকুল ইসলাম বিডিআর ও পিরোজপুর ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহীদ সরকার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন।

৩০ মার্চ আল মোস্তফার নতুন কোম্পানিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি কমিটি ঘোষণা করা হয়। সে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।দুজন বিএনপির শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
এর আগে আল মোস্তফার ফ্যাক্টরীর ভিতর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে করে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।সচেতন মহল মনে করেন আল মোস্তফা নেপথ্যে থেকে বিএনপি জামায়াত জোটকে আর্থিক ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।যার সহযোগিতা পেয়ে গোপনে বিএনপি জামায়াত জোট শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

সুচতুর ও সুবিধা ভোগী আল মোস্তফা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সাথেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলে ব্যবসায়িকসহ নানান সুবিধা গ্রহন করছে।অপর দিকে বিএনপি জামায়াত জোটের সাথে সম্পর্ক রেখে নানান সুবিধা প্রদান করছে ভবিষ্যৎ সুবিধা নিতে।আল মোস্তফার দ্বিমূখী নীতির কারণে ক্ষুব্ধ সরকারী দলের নেতাকর্মীরা।অপর দিকে আল মোস্তফার সহযোগিতা পেয়ে ভীষণ খুশি বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এখন আল মোস্তফা কে থামানো না হলে সোনারগাঁয়ে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতাসীন দলের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠবে।আল মোস্তফার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সচেতনমহল জোর দাবী জানান।

এবিষয়ে আল-মোস্তফা গ্রুপের কর্নধার মোস্তফা কামালের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭৫৫-৫৪৩৯২০ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।