বন্দরে (১৩) বছরের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় লম্পট ধর্ষক ও ধর্ষনের সহয়তাকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ধর্ষক দেবাশিষ চন্দ্র দাস (২১) বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া এলাকার মানিক চন্দ্র দাসের ছেলে ও ধর্ষণের সহয়তাকারি আল আমিন (২০) বন্দর জামাইপাড়া এলাকার জাকির খানের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে বন্দর স্কুলঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ১১ জুলাই রাত ১১টায় বন্দর থানার ২২নং ওয়ার্ডের জামাইপাড়া লোহার পুকুরপাড়স্থ মাষ্টার পট্রি ২নং আসামীর ভাড়াটিয়া ৫ম তলা বিল্ডিংয়ের বসত বাড়িতে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী পিতা বাদী হয়ে বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৯(৭)২৩। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষার পর বুধবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ৬ষ্ঠ শ্রেণী ছাত্রী তার নানার বাড়িতে আসা যাওয়ার সময় উল্লেখিত লম্পট ধর্ষক দেবাশিষ চন্দ্র দাস ও তার সহযোগি আল আমিন র্দীঘ দিন ধরে রাস্তায় উত্যক্তসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাদী মেয়ে স্কুল ছাত্রী তার নানা বাড়িতে যাওয়ার সময় ১নং বিবাদী দেবাশিষ চন্দ্র দাস ও ২নং বিবাদী আল আমিন বাদী মেয়েকে রাস্তায় একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ২নং বিবাদী উল্লেখিত ভাড়াটিয়া বসত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ২নং বিবাদী সহয়াতায় ১নং বিবাদী দেবাশিষ চন্দ্র দাস বাদী ১৩ বছরের স্কুল ছাত্রী মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ভাবে ধর্ষণ করে।