নারায়নগঞ্জ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে বন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ডাঃ এমএম রহমান আল-মাহবুবী নামে এক ভূয়া এমএমবিএস ডাক্তারকে ৩ মাসের সাজা ও ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সাজাপ্রদান করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা রানী কর্মকার বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ভূয়া ডাক্তারকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক এ সাজা প্রদান করেন। ঐ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতারক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসক সনদপত্র দেখাতে চাইলে ভূয়া ডাক্তার সনদপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ভূয়া এমবিবিএস ডাঃ এমএম রহমান আল-মাহবুবী বন্দর উপজেলার কল্যান্দী এলাকার আব্দুল হাকিম সরদারের ছেলে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ডাঃ এমএম রহমান আল মাহবুবী ভূযা পদবী ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় বিশ্ববন্ধু ব্লাড ডোনেশন ক্লাব চেম্বারে বসে সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। প্রতারক তার চাচার ফার্মেসীতে র্দীঘদিন ধরে সহকারি হিসেবে কাজ করার পর বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার ৩নং গল্লীর জনৈক জাকির মিয়ার ৬তলা ভবনের নিচতলা ফ্লাটে বাসা ভাড়া নিয়ে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার বলে প্রচার করে রোগী দেখে আসছে। ভূয়া ডাক্তার এম.এম. রহমান আল –মাহবুবী তার ব্যবহারকৃত প্যাডে এমবিবিএস, সিএমএস, এমপিএইচ, ডিপ্লোমা ইন রেসপিরেটরী মেডিসিন (ওআইইউ) লাঈভ স্টাইল ম্যানেজমেন্ট কোর্স অব কার্ডিওলজী (ইন্ডিয়া) ব্রেইন এন্ড মেন্টাল হেলথ ট্রেইনেড (বিএমএইচ এইউকে) প্রেকটিক্যাল কোর্স অন ডায়াবেটলজী (কলকাতা) বিএলএস ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন (বারডেম) সিপিআর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিসিন সিএন জনস্বাস্থ) এসব ভূয়া ডিগ্রি পদবী ব্যবহার করে আসছে।