বন্দরে সিনিয়র ও জুনিয়র নিয়ে কথা কাটাকাটি করার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ইসমাঈল (১৯) নামে এক হোসিয়ারী কর্মী রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী মারাত্মক জখম অবস্থায় হোসিয়ারী শ্রমিককে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করে।
গত শুক্রবার (৫ মে) রাত ৮টায় বন্দর থানার মদনগঞ্জ শান্তিনগরস্থ জনৈক টিটু মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হোসিয়ারী শ্রমিকের মা ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে শনিবার (৬ মে) বিকেলে হামলাকারি সন্ত্রাসী তুষার, সেলিম, সামিরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ঘারমোড়া এলাকার মোজাম্মেল হক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (১৯) পেশায় একজন হোসিয়ারী শ্রমিক। গত শুক্রবার ( ৫মে) সন্ধ্যা ৭টায় হোসিয়ারী শ্রমিক ইসমাঈল মিয়া তার খালার বাড়ি মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় বেড়াতে আসে। পরে ইসমাঈল উল্লেখিত এলাকার জনৈক টিটু মিয়ার চায়ের দোকানে চা খেতে আসলে ওই সময় শান্তিনগর এলাকার বখাটে ছেলে তুষারের সাথে ইসমাঈলের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বখাটে তুষার ইসমাঈলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে রাত ৮টায় বখাটে তুষারের নেতৃত্বে একই এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে সেলিম, হোসেন মিয়ার ছেলে সামির, আনার মিয়ার ছেলে নয়ন এবং মৃত আলমগীর মিয়ার দুই ছেলে রাহাত ও রাতুলসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে উল্লেখিত দোকান থেকে হোসিয়ারী শ্রমিক ইসমাঈলকে অপহরণ করে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। ওই সময় উল্লেখিতরা হোসিয়ারী শ্রমিককে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে লোক মারফতে খবর পেয়ে আহতের পিতা ও বড় ভাই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ইসমাঈলকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।