নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা উন্নয়ন করি। মানুষের কল্যাণ দেখি। আর বিএনপি মানুষ খুন করে, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এটাই হচ্ছে তাদের কাজ। বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না।রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রামেও তারা বারবার গ্রেনেড মেরেছে, গুলি চালিয়েছে। লালদীঘির ময়দানে সমাবেশ করতে গেছি সেখানে তারা গুলি চালিয়েছে। সেদিন যে পুলিশ অফিসার গুলি চালিয়েছিল খালেদা জিয়া তাকে প্রশোমন দিয়েছিল। শুধু এখানে না, সারা বাংলাদেশে ৬৩টি জেলায়, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা করেছে এই বিএনপি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস তারা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা মানুষের শান্তি চায় না। ক্ষমতায় থেকে কী করেছে, দু’হাতে লুটপাত। জনগণের অর্থ পাচার করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মারার হিসাব একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দিতে হবে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এই চট্টগ্রামে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’
জিয়াউর রহমান যখন মারা যান, ৪০ দিন পর্যন্ত আমরা শুনেছি, জিয়া কিছু তার পরিবারের জন্য রেখে যায় নি। একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া নাকি কিছুই রেখে যায়নি। আমার প্রশ্ন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসতে না আসতেই হাওয়া ভবন খুলে তার ছেলে যে চাঁদাবাজি, অর্থ সংগ্রহ এবং অর্থ পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, ওগুলো কোথায় থেকে এলো? ভাঙ্গা স্যুটকেস তো আর জাদুর বাক্স হয়ে যায় নি, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা এনেছে। এ চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আমরা করেছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন করেছি। ঢাকা থেকে কক্সাবাজার আমরা রাস্তা করছি, তাছাড়া রেললাইন করছি।…………………………………………….
২৯ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন: চট্টগ্রামে জনসভাস্থল থেকে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকাল সোয়া ৩টায় নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিল-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো জনসভাস্থল। সভামঞ্চে আরও উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
এর আগে দুপুর ১২টায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন আসতে শুরু করে।