২০২২ইং সালের গত নভেম্বর মাসে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক হত্যাকান্ডসহ ডাকাতি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা আংশকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কথা জানিয়েছে বন্দরের সচেতন মহল। গত নভেম্বর মাসে বন্দরে আইন শৃঙ্খলা মারত্মক ভাবে অবনতি ঘটেছে বলে এলাকাবাসী এ কথা জানিয়েছে।
তারা আরো জানিয়েছে, বন্দরে মাদকের ভয়াবহতা মারত্মক আকাড় ধারন করছে। কোন অবস্থাতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারছে না স্থানীয় পঞ্চায়েত।
থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে বিভিন্ন অপরাধে বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে মোট ৩৬টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৩টি, ডাকাতি ১টি, চুরি ১টি, ধর্ষন ১টি, মাদক মামলা ১৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ২টি, পর্নগ্রাফি আইনে মামলা ১টিসহ অন্যান্য মামলা হয়েছে আরো ১৩টি। এ ছাড়াও হত নভেম্বের মাসে বন্দরে বিভিন্ন ঘটনায় ৫টি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মাদক মামলায় ২১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ১৪টি মাদক মামলায় পুলিশ ৪ হাজার ৬’শ ৪৪ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫৩ কেঁগী গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩’শ টাকা। এ ছাড়াও পুলিশ গত নভেম্বর মাসে বন্দর উপজেলা ও নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে ২ জন সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ জিআর মামলার ৪০ জন ও সিআর মামলার ৩৬ জন ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, গত নভেম্বর মাসে ৩টি হত্যাকান্ড ছাড়া বন্দরে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা ভালো ছিল। তবে বন্দরে বেশ কিছু এলাকায় মাদক ব্যবসা বেরেছে। গত ৩৬টি মামলার মধ্যে মাদক মামলা হয়েছে ১৪টি। মাদক নিয়ন্ত্রনে সকলের সহযোগিতা চাই।