1. meghlatv24@gmail.com : bbcpresss :
  2. jahirulislam.siraj@gmail.com : Jahirul Siraj : Jahirul Siraj
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভারতের বর্ধমানে ফাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব প্রমোটিং লিডারশীপ ইন এডুকেশন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নদীয়ায় ডঃ আম্বেদকর বিএড কলেজে দুই বাংলার গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশ পাহাড়ায় যুবলীগ নেতার অনুমোদনহীন হাসপাতাল উদ্বোধন বন্দরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সেফরমা চুরিকালে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত চোর সোনারগাঁ জাদুঘরে ৫০বছর পূর্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁ জাদুঘরের ২নং গেইটের টিকেট বুথ উদ্ধোধন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীর বাড়িতে আমন্ত্রিত জেলা- মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা ধ্রুব সাহিত্য পরিষদ’র ঈদপুনর্মিলনীতে রেজাউদ্দিন স্টালিন জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বন্দরে সৎ ভাই ও তার স্ত্রী সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসী ফেরৎ বড় ভাইসহ আহত-৩

হে নারী! ইসলাম তোমাকে করেছে মহান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • সময়ঃ শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

বিবিসি প্রেসঃ নারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। সর্বত্রই নারীরা আজ নির্যাতিত হচ্ছে। এমন কোনো দিন অতিবাহিত হয় না যে দিন নারী নির্যাতনের কোনো সংবাদ পত্র-পত্রিকায় স্থান না পায়।

যৌতুকের দায়ে নারীকে হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া, চুল কেটে ফেলা, টুকরো টুকরো করে লাশ ফেলে দেয়ার খবরে এখন আর কেউ কান দেয় না। সবাই জানে, যে এসব ঘটনা নৈমিত্তক।

কিন্তু একজন নারীকে ইসলাম যে মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে তা আর কোন ধর্মই করেনি। ইসলামই প্রথম নারীকে প্রকৃত সম্মানে ভূষিত করেছে।

একটু চিন্তা করুন, ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে নারীর মর্যাদা কেমন ছিল। পুরুষরা নারীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করতো। রাতের বেলায় নারী মদ ও গান-বাদ্যের মহোৎসব করতো।

সে যুগে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়াকে তারা অমর্যাদাকর ও চরম লজ্জাস্কর মনে করতো। নারীকে অস্থাবর সম্পত্তি জ্ঞান করা হতো। তাদের অধিকার বলতে কিছু ছিল না।

কিন্তু মানবতার মুক্তির দূত, নবীকূল শিরোমনি হজরত মুহাম্মদ মুস্তফার (সা.) আবির্ভাবে নারীরা তাদের যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে।

তার (সা.) প্রতি অবতীর্ণ পূর্ণাঙ্গ ঐশীগ্রন্থ আল কোরআনে আল্লাহতায়ালা শিক্ষা দিলেন, ‘তারা তোমাদের জন্য একপ্রকারের পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য এক প্রকারের পোশাক’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)।

এখন দেখুন, পোশাকের কাজ কি? পোশাকের কাজ হচ্ছে নগ্নতাকে ঢেকে দেয়া। তাই আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তোমরা স্বামী-স্ত্রী অবশ্যই একে অপরের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখবে।

কেননা, পোশাক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কারণও হয়ে থাকে। এখানে নারী-পুরুষকে একে অপরের সহযোগী আখ্যায়িত করা হয়েছে।

নারীদের প্রতি উত্তম আচরণের ব্যাপারে মহানবী (সা.) বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতেন। তিনিই (সা.) পৃথিবীতে সর্বপ্রথম নারীর উত্তরাধিকার কায়েম করেছেন।

বস্তুত: কোরআন কারিমের মাঝেই ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদেরও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে মায়েদেরকে, স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে স্বামীদের সম্পত্তির এবং বিশেষ অবস্থায় বোনদেরকে ভাইদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার সাব্যস্ত করা হয়েছে।

ইসলামের পূর্বে পৃথিবীর বুকে আর কোনো ধর্মই এভাবে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেনি।

একইভাবে, তিনি (সা.) নারীদেরকে স্বামীদের সম্পদের মালিকানা দান করেছেন। স্বামীর এ অধিকার নেই যে, স্বামী হওয়ার কারণে সে তার স্ত্রীর সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে। নারী তার সম্পদ খরচ করার ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা রাখে।

নারীদের আবেগ-অনুভূতির প্রতিও রাসূল (সা.) যথেষ্ট খেয়াল রাখতেন। একবার নামাজ পড়াবার সময় তিনি একটি বাচ্চার কান্না শুনতে পেলেন। এজন্য নামাজ পড়ানো তিনি তাড়াতাড়ি শেষ করলেন।

পরে বললেন, একটি বাচ্চা কাঁদছিল, আমার মনে হলো, ওর মায়ের মনে নিশ্চয় কষ্ট হচ্ছে। কাজেই, আমি তাড়াতাড়ি নামাজ শেষ করলাম, যাতে বাচ্চাটার মা তার বাচ্চার খবর নিতে পারে’ (বোখারি, কিতাবুস সালাত)।

মহানবী (সা.) যখন কোনো সফরে যেতেন, তখন মহিলারাও সঙ্গে থাকতেন, যার ফলে সকলকে তিনি ধীরে ধীরে চলতে বলতেন। একবার এরকম এক অবস্থায় যখন সৈনিকরা তাদের ঘোড়া ও উটগুলিকে লাগাম ঢিলা করে দিয়ে জোরে তাড়া করতে শুরু করলো, তখন তিনি বললেন, ‘আরে তোমরা করছো কি! কাঁচের প্রতি খেয়াল রেখো! কাঁচের প্রতি খেয়াল রেখো! অর্থাৎ, করছো কি! মেয়েরাও তো সঙ্গে আছে। তোমরা যদি এভাবে উট দাবড়াতে থাকো, তাহলে তো ওই কাঁচগুলি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে’ (বোখারি, কিতাবুল আদাব)।

একবার এক যুদ্ধের ময়দানে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার কারণে উট ও ঘোড়াগুলোকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিল না। রাসুল করিম (সা.) পর্যন্ত ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। অনেক মহিলাও পড়ে গিয়েছিলেন।
এক সাহাবী পিছন থেকে রাসুল (সা.) এর সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পা তখনো রেকাবের মধ্যে আটকে ছিল এবং তিনি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি (সা.) তাড়াতাড়ি পা ছাড়িয়ে নিজকে মুক্ত করলেন এবং ঐ সাহাবীকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আমাকে ছাড়ো, ঐদিকে, মেয়েদের দিকে যাও।’

রাসুল করিম (সা.) এর ওফাতের সময় যখন ঘনিয়ে এলো, তখন তিনি (সা.) সব মুসলমানদেরকে সমবেত করে যে সব ওসীয়ত করেছিলেন, তার মধ্যে একটি কথা এই ছিল যে, ‘আমি তোমাদেরকে আমার এই শেষ ওসীয়ত (উপদেশ) করছি যে, নারীদের সঙ্গে যেন সর্বদা উত্তম আচরণ করা হয়।’

একথাও তিনি প্রায়ই বলতেন যে, ‘যার ঘরে মেয়েরা আছে এবং সে তাদের লেখাপড়া শিখায়, এবং ভালোভাবে তরবিয়ত করে, কেয়ামতের দিন খোদা তা’লা তার জন্য দোযখ হারাম করে দিবেন’ (তিরমিযি শরিফ)।

হজরত মাবিয়া আল কুশায়বি (রা.) বলেছেন, ‘আমি রাসুল করিম (সা.) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের ওপর স্ত্রীদের অধিকার কী?’

তিনি বললেন, ‘খোদা তোমাকে যা খেতে দিয়েছেন, তা থেকে তুমি তাকে খেতে দাও, খোদা তোমাকে যা পড়তে দিয়েছেন, তা থেকে তুমি তাকে পড়তে দাও, এবং তাকে থাপ্পরও মেরো না, গালিও দিও না এবং তাকে ঘর থেকে বের করে দিও না’ (আবু দাউদ)।

মহানবী (সা.) বলেছেন, নারীদেরকে পাঁজড়ের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি একবারে এটিকে সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলবে। অর্থাৎ তাদের স্বভাবে কিছুটা বক্রতা রাখা হয়েছে। কিন্তু এটিই নারীদের সৌন্দর্য্য।

তাদেরকে যদি একবারেই সোজা অর্থাৎ সংশোধন করার চেষ্টা করা হয় আর সেজন্য অশোভন ও কঠোর পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, তবে সেটি কখনো সংশোধিত হবে না আর এভাবে সেই হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে, অর্থাৎ নারীরা বিগড়ে যেতে পারে।

একথা স্বীকার করতেই হবে যে, ইসলাম নারীর যে মর্যাদা, অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন তা বিরল। তাই আসুন, নারীদেরকে তাদের প্রাপ্য অধিকার প্রদান করি এবং সুখি-সমৃদ্ধ সমাজ ও দেশ গড়ে তুলি।

লেখক: মাহমুদ আহমদ, গবেষক ও কলামিস্ট

সূত্রঃ যুগান্তর

কি!! সবার সাথে শেয়ার করবেন না??

এইরকম আরো খবর
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© ২০২১ | বিবিসি প্রেস © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | bbcpress.com