সুমন ইসলাম প্রামানিক, ডোমার ( নীলফামারী)
পারিবারক কলহের জেরধরে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা ও হত্যাকারীসহ শাশুড়ী আহত হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগসৃট) নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ৭ নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের হরতকীতলা নিমোজখানা এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত ২ জনকে বোড়াগাড়ী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান,কলহের জেরধরে উপজেলার ৭নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চান্দিনা পাড়া এলাকার সমারু ইসলামের ছেলে জিয়াবুল ইসলাম (৩৫) ধারালো ছুরি দিয়ে প্রথমে তার স্ত্রী রত্না বেগম(২৬) কে কুপায়। এসময় আড়াই বছরের মেয়ে ইয়াসমিন এবং রত্নার মা দৌড়ে এলে জিয়াবুল তাদেরকেও কুপায়, পর সেই ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের পেটেও মারে। এরই মধ্যে জিয়াবুলের স্ত্রী রত্না এবং মেয়ে ইয়াসমিন বাঁচতে আহত অবস্থায় দৌড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে ২শত গজ দুরে রাস্তায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
নিহতরা হলেন ৭নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের হরতকিতলা নিমোজখানা এলাকার আব্দুল করিমের মেয়ে রত্না বেগম ও তার আড়াই বছরের মেয়ে ইয়াসমিন।
এসময় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিয়াবুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং তার শ্বাশুড়ি বিলকিস বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় বোড়াগাড়ী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উন-নবী ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন,উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং তার সফরসঙ্গী সৈয়দপুর উপজেলার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসেছেন। লাশ বর্তমানে বোড়াগাড়ী মেডিকেল হাসপাতালে রয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে