বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক সদ্য অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব মোহাম্মদ লিটনসহ তার অনুসারীদের ব্যাপক চাঁদাবাজি সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় বন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে চাঁদাবাজির ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর ছাত্রলীগের নেতা লিটন নিজেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এমন কথা জানিয়েছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের নব গঠিত কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা। এ দিকে ধান্দাবাজ ছাত্রলীগ নেতা লিটন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রকৃত সংবাদকে মিথ্যা বানানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডিতে বিবৃত্তি দিয়ে নিজেকে সাধু বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আবুল হাসান জনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃত্তিতে জানান, সে দিন ৩ হাজার মানুষের খাবার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমার পরিবার। অনুষ্ঠানটি ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের। লিটন ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ না। তিনি ইউনিয়নে রাজনীতি করেন। তাকে আমরা টাকা দিব কেন ? এ অনুষ্ঠান সফল করতে আমরা নিজেরাই আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেছি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর উপজেলার একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে আরো জানান, মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসান জনী তার বিবৃত্তির মাধ্যমে পরিস্কার জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমরা টাকা দিব কেন। আমরা আর্থিক ও সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) ধামগড় ইউনিয়নের গকুল দাসেরবাগ মাদ্রাসা মাঠে বঙ্গবন্ধু শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল ব্যাপক চাঁদাবাজি অভিযোগ উঠে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব লিটনের বিরুদ্ধে।