বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরের সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম.কুদরত-এ-খুদাকে ফুলেল অভ্যর্থণা জানিয়েছে বন্দরের শিল্পীবৃন্দ। বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু’র নেতৃত্বে এ অভ্যর্থণা জানানো হয়। অভ্যর্থণাকালে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশণার (ভূমি) মনিষা রানী কর্মকার। এছাড়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন,অর্থ সম্পাদক আবু জাফর জিপু,কার্যনির্বাহী সদস্য মিতু মোর্শেদ,শেখ তাফসির,সাগর দাস,নতুন সদস্য মোঃ আনোয়ারুল হক,সৈয়দ মোরশেদ আলম,বিমল চন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মঞ্জুর আহমেদ মুন্না,মোঃ মনির হোসেন,শামীম আহমেদ ও সুমন হাসান।
বন্দরে ইয়াবাসহ পারভেজ গ্রেপ্তার
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে ২০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নূরজ্জামান ওরফে পারভেজ (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী পারভেজ বন্দর থানার ২৪ নং ওয়াডের আমিরাবাদ এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদক মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ( ৫ ডিসেম্বর) রাত ১১ টায় ১০ মিনিটে বন্দর থানার আমিরাবাদ মোড়স্থ জৈনক হালিম মিয়ার দ্বিতীয় তলা বিল্ডিংয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানার এসআই মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন বাদী হয়ে ধৃত মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং ৫(১২)২৩। থানা সূত্রে জানাগেছে, ধৃত মাদক ব্যবসায়ী নূরজ্জামান ওরফে পারভেজ দীর্ঘ দিন ধরে বন্দরে আমিরাবাদ, বক্তারকান্দী, দেউলীসহ বিভিন্নধরনের এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। থানার উপ- পরিদর্শক ফয়েজ হোসেনসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ###
মামলা তোলে না নেওয়ার জের বন্দরে কাটা সিফাত বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় পিতা/ মেয়ে আহত ৫টি বাড়ি ভাংচুর
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে আলোচিত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত বাহিনী বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না করার জের ধরে আবারো সন্ত্রাসী হামলায় পিতা/ মেয়ে রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় হামলাকারীরা ৫/৬ টি বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো ইউনুছ মিয়া (৪৮) ও তার মেয়ে স্বর্ণা আক্তার (২১)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর থানার ২২ নং ওয়াডের বন্দর বাড়ইপাড়া এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আহত ও শ্লীতাহানীর শিকার ভূক্তভোগী স্বর্ণা আক্তার বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দরে কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত বাহিনীর অন্যতম সদস্য পারভেজ, হৃদয়, পাভেল, ফয়সাল, সিফাত ও রিফাতসহ ৫/৭ জনকে আরো অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বন্দর বাড়ইপাড়া এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে রুহিত (২০) কে হত্যার উদ্দেশ্য মুখের ডানগালে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার রিং শাহীনের ছেলে কাটা সিফাত বাহিনী। এ ব্যাপারে আহতের পিতা ইউনুছ মিয়া বাদী হয়ে গত ১৩ সেপ্টম্বর কাটা সিফাতসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় ২৫(৯)২২ নং মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় গত শনিবার সকাল ১১টায় বাদীর স্ত্রী রুনা আক্তার ছালেনগরস্থ সুলতান খলিফার বাড়ি সামনে আসলে ওই সময় উল্লেখিত মামলা তোলে নেওয়ার জন্য ছালেনগর এলাকার এমদাদ মিয়ার ছেলে উক্ত মামলার ৫ নং আসামী ফয়সাল, একই এলাকার কালাম মুন্সির ২ ছেলে উল্লেখিত মামলার চার্জসিটভূক্ত আসামী সিফাত ও রিফাতসহ একই এলাকার মাসুদ মিয়ার ছেলে পারভেজ, মনরা ওরফে মনা মিয়ার ছেলে হৃদয়,মাসুদ মিয়ার ছেলে পাভেলসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ সন্ত্রাসী মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়। হুমিকর ঘটনায় মামলার বাদী স্ত্রী রুনা আক্তার এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এ ঘটনার জের ধরে গত রোববার ( ৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উল্লেখিত বিবাদীগন দেশীয় ধারালো অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মামলার বাদীর বাড়িতে আবার সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা মামলার বাদীর মেয়েকে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা ও রক্ত জমাট জখম করে শ্লীতাহানী করে ১টি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় মেয়ের চিৎকারের শব্দ পেয়ে হামলাকারিদের কবল থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে আসলে সন্ত্রাসীরা মামলার বাদী ইউনুছকে কুপিয়ে কাটা জখম করে বাদী বাড়ি ঘরসহ ওই এলাকার প্রায় ৫/ ৬ টি বাড়ি ভাংচুর চালিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।