রাসেদুল ইসলাম রাসেল

১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বেদনার এই দিন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে আজ ১৩ আগষ্ট রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ভিপি শহিদ বাদলের উদ্দ্যোগে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম (মেম্বার) এর নেতৃত্বে প্রায় ৪ থেকে ৫শতধিক নেতা কর্মী এই শোক র‌্যালী অংশগ্রহন করেন।নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে চাষাড়া শহীদ মিনারে এসে শোক রেলী টি শেষ হয়।

এই শোক র‌্যালী সফল করতে সোনারগাঁ উপজেলা থেকে আগত কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কাঁচপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সাঃ সম্পাদক মো অহিদুল ইসলাম, যুগ্ন-সাঃসম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল, আফজাল,মোতালেব,মাসুদ, কামাল, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, জুয়েল,শিপন, শ্রমিকলীগ নেতা ইউনুস সহ বিভিন্ন অংঙ্গ সমগঠনের নেতা কর্মী বৃন্দ।

শোক বার্তায় মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিশ্ব মানবতাকে দংশনকারী হন্তারক হায়েনারা গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেটে বিদ্ধ হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবার।

অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের। গুলি চালিয়েছে নরপশুরা।

সেদিন ঘাতকের বুলেটে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, ছোট্ট শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল।

খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু-কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপান্তরের পথে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সকল শাঠ্য-যড়যন্ত্রকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় লড়াকু ও অকুতোভয় বাঙালি ও বাংলাদেশ আবার মাথা উঁচু করে সগৌরবে আসীন হয়েছে বিশ্বসভায়।