শাহারুখ আহমেদ:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচা, চাচি ও চাচাতো বোনকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে রাসেল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। উশৃংখল রাসেল সোনারগাঁ উপজেলার সম্ভুপুরা ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও এলাকার ফজর আলী ব্যাপারীর ছেলে।
ভুক্তভোগী চাচা মো: মনির হোসেন বলেন, চৌধুরীগাঁও এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানদের কয়েক দফার সমন্বয়ে আমি ও আমার বড় ভাইয়ের পৈতৃক সম্পত্তিতে সীমানা নির্ধারন করা হয়। সেই মোতাবেক নির্ধারিত স্থানে আমি পরিবার সমেত বসবাস করছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমার বড় ভাই ও তার স্ত্রী সন্তানেরা নির্ধারিত সীমানা পিলার অতিক্রম করে নতুন ঘর নির্মান করে। এবিষয়ে যতবার বাধা দিয়েছি ততবারই লাঞ্ছিত ও হুমকির শিকার হয়েছি। সর্বশেষ ১০’ই আগস্ট বিকেলে পুনরায় ঘর নির্মাণে বাধা দিতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বড় ভাইয়ের ছেলে রাসেল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে মারধর করতে থাকে, পরে আমার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে শাহানা আক্তার বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও কিল-ঘুষিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। আঘাতের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরবর্তীতে নিজেকে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আবিষ্কার করি।
আহত মনির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, আমাদের দাম্পত্য জীবনে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে, নেই কোন পুত্র সন্তান। তাই বার্ধক্য কালিন সময়ে এসে অসহায়ত্ব বোধ করছি। আর অন্যদিকে আমার ভাশুরের পরিবারে রয়েছে তিন পুত্র সন্তান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা হুমকি, ধামকি ও মারধর সহ নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছে। বিশেষ করে ভাশুরের মেঝো ছেলে বাংলাদেশ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর সদস্য হওয়ায় বড় ছেলে রাসেল ও ভাশুরের স্ত্রী সুযোগ পেলেই আইনের অপব্যাবহার করে হেনস্তার হুমকি দিতে থাকে, তাছাড়া বখাটে রাসেল র্যাব সদস্য ছোট ভাইয়ের ভয় দেখিয়ে আমাদের বসত বাড়িতে অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
বখাটে রাসেলর মা ও বাবা দুজনেই তাদের ছেলের উশৃংখল আচরণ ও অপরাধের কথা পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট স্বীকার করে।
রাসেলের মা জানান, ঘাটনার দিন আমার দেবর মনির হোসেন আমার স্বামীকে কথা কাটাকাটির সময় ধাক্কা দিলে পরবর্তীতে আমার ছেলে রাসেল আক্রমণ শুরু করে।
মো: মনির হোসেন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের প্রান নাশের হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় ঘটনার পরদিন সোনারগাঁ থানায় নিজে বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবিষয়ে সোনারগাঁ থানা অফিসার (তদন্ত) মো: আহসান উল্লাহ বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পরিপূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে হামলার সত্যতা ও অপরাধ নির্ণয় হলে আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।