নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পানাম গাবতলীতে সন্ত্রাসীরা বুধবার (২৫ অক্টোবর ) রাতে সোলায়মান মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোসামৎ স্বপ্নার (২৮) কুলের বাচ্চা টেনে হেছড় পেলে দিয়ে গৃহবধূকে কুপিয়ে গুরুত্ব আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত গৃহবধূ তার সন্তানকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় গৃহবধূ স্বামী সোলায়মান মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন গাবতলী গ্রামের ১/ মোসাঃ সনিয়া (৩৫), পিতা- শামছুল হক, ২। মোঃ হাবু (৬০), পিতা- মৃতঃ কাশেম মৃধা, ৩। শামছুল হক (৫৮), পিতা- মৃতঃ খলিল বেপারী, ৪। মোসাঃ ফরিদা বেগম (৪৮), স্বামী- শামছুল হক।
বিবাদীদের সহিত আমাদের পারিবারিক সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়া পূর্ব হইতে বিরোধ ও শত্রুতা চলিয়া আসিতেছিল। যাহার কারণে উপরোক্ত বিবাদীরা প্রায়শই আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকী প্রদান করিয়া আসিতেছিল । এরই ধারাবাহিকতায় ইং ২৫ রাত অনুমান ১০ টার দিকে উপরোক্ত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বিবাদী তাহাদের হাতে ধারালো দা, চাকু, লোহার রড, লাঠিসোটা সহ দেশীয় অগ্রসরো সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে আমার বসত বাড়ীর সীমানার ভেতর অনাধিকার প্রবেশ করতঃ উপরোক্ত বিবাদীরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করিতে থাকে। তখন আমি বাড়ীতে ছিলাম না। বিবাদীদের গালাগালি শুনিয়া আমার স্ত্রী মোসাঃ স্বপ্না (২৮) ঘর হইতে বাহির হইয়া বিবাদীদের গালাগালি করিতে নিষেধ করিলে বর্ণিত ২নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়া এলোপাথাড়ী ভাবে মারধর করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। ৪নং বিবাদী আমার স্ত্রীর কোলে থাকা দেড় বছরের বাচ্চা আইয়ানকে তুলিয়া আছাড় মাড়িয়া আহত করে। তখন আমার স্ত্রী চিৎকার দিয়া।। বাচ্চাকে রক্ষা করার চেষ্টা করিলে ১নং বিবাদী আমার স্ত্রীকে ঝাপটাইয়া ধরিয়া রাখে এবং ৩নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মাড়িলে আমার স্ত্রী তাহার বাম হাত দিয়া ঠেকায়। এতে উক্ত কোপটি আমার স্ত্রীর বাম হাতে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। (যাহার কারণে আমার স্ত্রীর হাতে ৪/৫ টা সেলাই লাগে)। ২নং বিবাদী আমার স্ত্রীর পরিহিত কাপড় টানা হেছড়া করিয়া শ্লীলতাহানি করে। ১নং বিবাদী আমার স্ত্রীর গলায় থাকা একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, যাহার মূল্য অনুমান ৯০,০০০/- টাকা নিয়া যায়। একপর্যায়ে সকল বিবাদীরা আমার বসত ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করতঃ ঘরে থাকা আলমারীর ড্রয়ারে রক্ষিত অনুমান ০৫ ভরি বিভিন্ন ধরণের স্বর্নালংকার, যাহার বর্তমান বাজার মূল্য অনুমান। ৪,৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং নগদ ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায়। এরপর উপরোক্ত সকল বিবাদীরা আমার স্ত্রীকে আমার ঘরের ভিতর একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করিয়া রাখে এবং বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি সহ হুমকী ধামকী প্রদান করে। আমার স্ত্রী কোন উপায়ান্ত না পাইয়া জাতীয় জরুরী নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন করিলে সোনারগাঁ থানা পুলিশ আমার বাড়ীতে গিয়া রুমের তালা খুলিয়া আমার স্ত্রীকে গুরুতর অবস্থার উদ্ধার করিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি সংবাদ পাইয়া দ্রুত হাসপাতালে যাই।