1. meghlatv24@gmail.com : bbcpresss :
  2. jahirulislam.siraj@gmail.com : Jahirul Siraj : Jahirul Siraj
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভারতের বর্ধমানে ফাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব প্রমোটিং লিডারশীপ ইন এডুকেশন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নদীয়ায় ডঃ আম্বেদকর বিএড কলেজে দুই বাংলার গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশ পাহাড়ায় যুবলীগ নেতার অনুমোদনহীন হাসপাতাল উদ্বোধন বন্দরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সেফরমা চুরিকালে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত চোর সোনারগাঁ জাদুঘরে ৫০বছর পূর্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁ জাদুঘরের ২নং গেইটের টিকেট বুথ উদ্ধোধন নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীর বাড়িতে আমন্ত্রিত জেলা- মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা ধ্রুব সাহিত্য পরিষদ’র ঈদপুনর্মিলনীতে রেজাউদ্দিন স্টালিন জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বন্দরে সৎ ভাই ও তার স্ত্রী সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাসী ফেরৎ বড় ভাইসহ আহত-৩

মুমিনের কর্মপন্থা বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি

বিবিসি প্রেসঃ
  • সময়ঃ সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, তাদের সংকট প্রধানত চিন্তাগত। তাদের নিয়তে সমস্যা কম থাকে। তাদের বেশির ভাগই ধর্মকর্মে একনিষ্ঠ। এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে তাদের নিয়তও শুদ্ধ থাকে। তারা আল্লাহর আনুগত্যের অংশ হিসেবেই এসব করে থাকে। তাদের অবস্থা প্রথমযুগের খারেজিদের মতো, যারা বেশির ভাগ মুসলিমকে ‘কাফির’ আখ্যা দিত।

তারা আমিরুল মুমিনিন আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)-কে কাফির মনে করত এবং তাঁকে ও অন্য মুসলিমদের হত্যা করা বৈধ মনে করত। বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থে ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থে তাদের এভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে—‘তোমাদের যেকোনো ব্যক্তি নিজেকে তাচ্ছিল্য করবে, যদি নিজের নামাজকে তাদের (খারেজিদের) নামাজের সঙ্গে তুলনা করে, নিজের তাহাজ্জুদকে তাদের তাহাজ্জুদের সঙ্গে তুলনা করে এবং নিজের তিলাওয়াতকে তাদের তিলাওয়াতের সঙ্গে তুলনা করে। তারা কোরআন তিলাওয়াত করে; কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালি অতিক্রম করে না। তারা দ্বিন থেকে বেরিয়ে গেছে, যেমন ধনুক থেকে তীর বের হয়ে যায়।’

অর্থাৎ তারা বেশি বেশি রোজা রাখে, তাহাজ্জুদ পড়ে, কোরআন তিলাওয়াত করে এবং ইবাদত করে। কিন্তু কোরআন তাদের মন-মস্তিষ্কের গভীরে প্রবেশ করে না। ফলে তারা দ্বিনের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে না, ইসলামী শরিয়তের উদ্দেশ্য ও অন্তর্নিহিত রহস্য সম্পর্কে জানতে পারে না; বরং তাদের চিন্তা আঁটকে থাকে শব্দ ও বাহ্যিক অবস্থায়। ইসলামী শরিয়তের অগভীর ও অপূর্ণ জ্ঞান তাদের মুসলমানের জীবন ও সম্পদ ধ্বংস করার অনুমোদন দেয়। এ জন্য তারা ‘ফারিসুল ইসলাম’ (ইসলামের অশ্বারোহী) ও তাঁর ছেলে বকর, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)-কে হত্যা করা বৈধ বলে ঘোষণা করে। ধর্মপালনে অধিকতর বিশুদ্ধতার অজুহাতে খারেজি সম্প্রদায় অসংখ্য সাহাবি, তাবেয়ি ও সময়ের বিদগ্ধ আলেমদের হত্যা করে। খারেজি বিশৃঙ্খলা ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান কালো অধ্যায়।

নিয়তের বিশুদ্ধতা দায়মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয় : রাসুলুল্লাহ (সা.) সেসব নিষ্ফল কাজ, নির্বুদ্ধিতা ও বিকৃতি থেকে সতর্ক করেছেন, যাতে কোনো ‘ভালো মনের মানুষ’ জড়িয়ে পড়ে। তারা তাতে লিপ্ত হয় ভালো নিয়তে ও মহৎ উদ্দেশ্যে। তবে তারা সব কিছু নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে, প্রতিপক্ষকে কাফির আখ্যা দেয়। তারা এটা করে তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ ও জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে। যদি সমাজ তাদের ব্যাপারে সচেতন না হয়, তাদের হাত চেপে না ধরে এবং তাদের কাফির তকমা দেওয়ার প্রবণতা রোধ না করে, তাহলে পুরো সমাজকে নিজেদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করবে। তাদের নিয়ত ভালো হওয়া সত্ত্বেও তারা নিজেদের এবং পুরো সমাজের ধ্বংস ডেকে আনবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানীদের নির্দেশ দিয়েছেন তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে, তাদের হাত চেপে ধরতে এবং তাদের কাফির আখ্যা দেওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, আদেশ দিয়েছেন এ কাজে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে। যেন পুরো মুসলিমসমাজ রক্ষা পায়, তাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

এ ক্ষেত্রে নবীজি (সা.) একটি জীবন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এদের দৃষ্টান্ত হলো একটি দোতলা বা তিনতলা নৌকার আরোহীদের মতো। তাদের কেউ ওপরের তলায় আছে এবং কেউ নিচের তলায় আছে। যদি নিচতলার আরোহীরা নদী বা সাগরের পানি সংগ্রহের জন্য নৌকা ছিদ্র করতে চায় এবং দাবি করে তারা তাদের অংশের ব্যাপারে স্বাধীন, যখন-তখন বারবার যাতায়াত করে তারা ওপরের আরোহীদের কষ্ট দিতে চায় না, তবে নৌকার সব আরোহীর দায়িত্ব হলো তাদের পথরোধ করা, তাদের এই অন্যায় অধিকারচর্চা থেকে বিরত রাখা। কেননা তাদের কর্মকাণ্ডে পুরো নৌকায় ডুবে যাবে। সবার জীবন ও সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়বে।

উত্তম হলো বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ভাষায় জেনে নেওয়া। নোমান ইবনে বাশির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্ধারিত সীমার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং যে সীমা লঙ্ঘন করে, তাদের দৃষ্টান্ত সেই যাত্রীদলের মতো, যারা লটারির মাধ্যমে এক নৌযানে নিজেদের স্থান নির্ধারণ করে নিল। তাদের কেউ স্থান পেল ওপর তলায় আর কেউ নিচতলায়। (পানির ব্যবস্থা ছিল ওপরতলায়) কাজেই নিচেরতলার লোকেরা পানি সংগ্রহকালে ওপরতলার লোকদের ডিঙিয়ে যেত। তখন নিচতলার লোকেরা বলল, ওপরতলার লোকদের কষ্ট না দিয়ে আমরা যদি নিজেদের অংশে একটি ছিদ্র করে নিই (তাহলে ভালো হয়)। এ অবস্থায় তারা যদি তাদের আপন মর্জির ওপর ছেড়ে দিই, তাহলে সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি তারা তাদের হাত ধরে রাখে (বিরত রাখে), তবে তারা এবং সবাই রক্ষা পাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৯৩)

হাদিসটি থেকে মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক দায়িত্বের ধারণা পাওয়া যায়। তাদের জন্য বৈধ নয়, জাতির একদল সন্তানকে তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন চিন্তা, মূর্খতা ও অন্যায় কাজে স্বাধীন করে দেওয়া—যদিও তাদের নিয়ত বিশুদ্ধ হয়। নিয়তের বিশুদ্ধতা মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়; বরং প্রয়োজন নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক পথ খুঁজে নেওয়া। নিয়তের পাশাপাশি কর্মপন্থা সঠিক হওয়া।

সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।

কি!! সবার সাথে শেয়ার করবেন না??

এইরকম আরো খবর
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© ২০২১ | বিবিসি প্রেস © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | bbcpress.com