বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেবুবা সাঈদকে অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও কর্ম বিরতি পালন করেছে হাসপাতালের নার্স ও কার্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রোকেয়া ও নার্স ফৌজিয়ার নেতৃত্বে সেবিকা ও কর্মচারীদের একটি অংশ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মবিরতি ও মানববন্ধনের খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা ও সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান হাসপাতালে ছুটে আসেন। এরপর সবাইকে নিয়ে হাসপাতাল অডিটরিয়ামে আলোচনায় বসেন।
এ সময় নার্স ও কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডা. মেহেবুবা সাঈদ কারণে অকারণে তাদের বেতন আটকে দেন, তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ ছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও করেন তারা। এ সময় নেতৃবৃন্দ নার্স ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রোগীদের সেবা ফেলে রেখে হাসপাতালে কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। আন্দোলন না করে পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন তারা।
অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মেহেবুবা সাঈদ বলেন, হাসপাতালে দীর্ঘ দিনের অনিয়মকে আমি যখন নিয়মে পরিণত করতে শুরু করি তখন থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই মানববন্ধনও ষড়যন্ত্রের অংশ। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি বন্দরবাসীকে সেবা দিতে দায়িত্ব নিয়েছি। আমি বন্দরবাসীকে শতভাগ সেবা দিতে চাই। আমার কঠোর অবস্থানের কারণে কোভিডে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে সারা বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর উপজেলা প্রথম হয়েছে।
নার্স কর্মচারীদের বেতন আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি ভাবে বেতন বরাদ্ধ হয়নি। আমি বেতন আটকে রাখার কে। তারা যেমন সরকারী চাকরি করেন। আমিও তেমন সরকারি চাকরি করি। সরকার যখন বেতন বরাদ্দ দিবে তখন আমিও পাব তারাও পাবে। তিনি আরো বলেন, ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা ঠিকমত ডিউটি করেনা বিধায় আমি কঠোর ভাবে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে চাওয়ায় তারা আমাকে সরাতে নানা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা জানান, প্রশাসনিক দ্বন্ধের কারণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা না পেয়ে অনেকে আন্দোলন করছে। এছাড়া বড় কোনো ইস্যু নেই। প্রশাসনিক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন হলেই সব দ্বন্ধের অবসান হবে বলে তিনি জানান।