বন্দরে সড়ক দূঘটনার পর সন্ত্রাসী হামলায় আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মামুন মিয়া রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক দূঘটনার পর ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন ঘাতক স্টার লাইন বাসটি আটকসহ হামলাকারি বাসের হেলপার শাহ আলম মাসুদ (৩১) আটক করতে সক্ষম হলেও ওই সময় পালিয়ে গেছে বাস চালকসহ ২ জন। গ্রেপ্তারকৃত হেলপার শাহ আলম মাসুদ ফেনী জেলার সদর থানার সরিষাদী বাজার চোছনা এলাকার নুরুল আমিন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আহত উপ-পরিদর্শক মোঃ মামুন মিয়া বাদী হয়ে ৮ জুন বুধবার বিকেলে আটককৃত হেলপার শাহ আলম মাসুদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় সড়ক পরিবহন আইন ও পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়া ঘটনায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৪(৬)২২। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুন মঙ্গলবার সকালে আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক মামুন মিয়া ডিসি কোর্স অংশ গ্রহনের নিমিত্তে শারীরিক পরিক্ষা করানোর জন্য মটর সাইকেল যোগে জেলা পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে তার ব্যবহারকৃত মটর সাইকেলটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ডস্থ চৌরাস্তা এলাকায় আসলে ওই সময় বেপরোয়া গতিতে আসা স্টার লাইন নামক যাত্রীবাহী বাস যার রেজি নং ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৯৯৪৫ মটর সাইকেলি কে পিছন দিক থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। পরে আহত এসআই মামুন এরপ্রতিবাদ করলে ওই সময় উল্লেখিত বাসের হেলপার শাহ আলম মাসুদ ও চট্রগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানার কাঠগড় বাজার এলাকার বাসিন্দা বাস চালক মোঃ সেলিম ও নোয়াখালী জেলার মোঃ আল আমিন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত হেলপার শাহ আলম মাসুদকে বুধবার দুপুরে ওই মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে।