বন্দরে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাষন্ড বড় ভাই শাহীন ও তার ছেলে সৌরভের সন্ত্রাসী হামলায় ছোট ভাই ও তার স্ত্রী জখমসহ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৭দিনেও কোন প্রতিকার পায়নি ক্ষতিগ্রস্থরা। গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা জানিয়েছে সন্ত্রাসী হামলায় আহত মহসীন ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগম।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বন্দর থানা পুলিশের কাছে সুবিচার না পেয়ে এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ তানিয়া বেগম বাদী হয়ে গত ১০ এপ্রিল হামলাকারি পাষন্ড বড় ভাই শাহিন মিয়া ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম ছেলে সৌরভ মেয়ে তানজিমা ও শ্যামা নাম উল্লেখ্য করে উল্লিখিত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের আশায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দক্ষিণ লক্ষনখোলা এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছোট ছেলে মহসীন এর সাথে তাইে বড় ভাই শাহীন মিয়ার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ি সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ৯ এপ্রিল বিকেলে পাষন্ড বড় ভাই শাহীন ও তার সন্ত্রাসী ছেলে সৌরভসহ উল্লিখিতরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছোট ভাই মহসীনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা বাড়ি লোহার গেইট ভেঙ্গে ফেলে অনধিকার ভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে ছোট ভাই মহসীনকে অকথ্য ভাষা গালাগালি করে মারধর করে। পরে আহত মহসীন গত ১০ এপ্রিল বিকেল ৪টায় সন্ত্রাসী হামলায় ভেঙ্গে যাওয়া তাদের লোহার গেইট মেরামতের করতে চাইলে ওই সময় উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে অনাধিকার ভাবে আবারও বাড়িতে প্রবেশ করে জানালার থাইগ্লাস ব্যাপক ভাংচুর,লুটপাট চালিয়ে প্রায় ১লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় আহত মহসীন হামলাকারিদের বাধা প্রদান করলে ওই সময় হামলাকারিরা মহসীনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার স্ত্রীকে শ্লীতাহানী করে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, এ ঘটনায় বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারনে বন্দর থানা পুলিশ বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। থানায় প্রতিকার না পেয়ে এ ব্যাপারে গত ১০ এপ্রিল সুবিচারের আশায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।