বন্দরে র্যাব-১১ আদমজীনগর ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ পৃথক অভিযানে চালিয়ে ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযান কালে র্যাব-১১ আদমজীনগর বন্দর থানার মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা মেট্রো ট ২২-৬৭৬২ নাম্বারের একটি ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে মাদক বিক্রির নগদ ৭ হাজার টাকা ও ৭ হাজার ৬’শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ একই তারিখ রাতে বন্দর উপজেলার চিড়াইপাড়া শাহিন ফ্যাশন এন্ড টেলিকমের সামনে পাকা রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে ৫’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গত রোববার ( ৭ মে) বিকেলে ও রাতে বন্দরে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত মাদকদ্রব্যসহ ওই ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিরা হলো রুপগঞ্জ থানার চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের মৃত নাদের বক্স মিয়ার ইয়াবা ব্যবসায়ী ছেলে কাশেম (৩৬) চট্রগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার মালিয়াবাদ চৌধূরী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মাবুদ মিয়ার ছেলে শাহাদাত আলী ওরফে সোনা মিয়া ওরফে শাকির বাপ (৪০) ও চট্রগ্রাম চন্দনাইশ থানার দেওয়ান হাট শহরের মল্লিক বাড়ি এলাকার মৃত খাজের আহম্মেদ মিয়ার ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী মনির (২২) ও বন্দর উপজেলার চিড়াইপাড়া কলোনী এলাকার মৃত হযরত আলী মিয়ার ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম কালু (৪০)।
বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ আদমজীনগর এর উপ-পরিদর্শক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্রর উপ-পরিদর্শক মোঃ আল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং ১৮(৫)২৩ ও ১৯(৫)২৩। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাগন।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত ৩ ইয়াবা ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ইয়াবা কর্মকর্তাগণলিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাক তল্লাশী চালিয়ে ৭ হাজার ৬৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।