বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে বড় বোনকে কুপিয়ে আহত করা মামলায় ছোট ভাই মোকশেদ আলম (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মোকশেদ আলম বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত হাজী আমির হোসেনের ছেলে। এ ব্যাপারে মোকশেদ আলমের
বড় ভাইয়ের স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে রোববার (৬ এপ্রিল) মোকশেদ আলম তার ছেলে মোস্তাকিম, ঝাঁ সুধী আলমসহ আরো ৫/৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতকে সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত হাজী আমির হোসেন মিয়ার বড় ছেলে খোরশেদ আলম এর সাথে তারেই ছোট ভাই মোকশেদ আলম ও তার পরিবারের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতা গত ২ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা হক সাহেবের গলি দিয়ে বাদিনী ননদ মোসাঃ আলেয়া বেগম (৪৯) আমাদের বাসায় যাওয়ার পথে উল্লেখিতরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেআইনী জনতাবন্ধে অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ১ নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগন আলেয়া বেগমকে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। ওই সময় আলেয়া বেগম বিবাদী মোকশেদ আলমসহ তার পরিবারকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে আলেয়া বেগমকে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদী মোকশেদ আলম তার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে আমার ননদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ননদের মাথা বরাবর কোপ মারিলে আমার ননদ উক্ত কোপ বাম হাত দিয়া ফিরাইলে উক্ত কোপ আমার ননদের বাম হাতে লাগিয়া রক্তাক্ত জখম হয়। আমার ননদের ডাক চিৎকারে আমার ননদকে বাঁচাতে আমি এবং আমার আরেক ননদ মৌসুমি (৩০) আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীগন ধারালো দা, লাঠি, লোহার রড নিয়ে ধাওয়া করিয়া আমাদের বসত বাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া আমাদেরকে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদীগন আমার বসত বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া অনুমান ১,০০,০০০/-টাকার ক্ষতিসাধন করে পালিয়ে যায়।