বন্দরে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম করল মাদক ব্যবসায়ী ২২ দিনের মামলা নেয়নি পুলিশ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে অবশেষে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে ভূক্তভোগী হাবিবুর রহমান দুলাল বাদী হয়ে মাদক সম্রাট গাজী ও তার স্ত্রী লিপি বেগমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১১(১২)২২ ধারা- ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৪২৭/ ৩৭৯/১১৪// ৫০৬/ ৩০৭ পেনাল কোড-১৮৬০। এ দিকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলা দায়ের ৩ দিন অহিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এ মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ নূরবাগ এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে চিহিৃত মাদক সম্রাট গাজী ও তার স্ত্রী লিপি বেগম দীর্ঘ দিন ধরে মামলার বাদী হাবিবুর রহমান দুলালের পৈত্রিক জমিতে অবাধে মাদক ব্যবসা করে আসছে। এ ঘটনায় বাদী ও তার ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগম মাদক ব্যবসায়ী গাজী ও তার স্ত্রী লিপি বেগমকে মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। উল্লেখিত বিরোধের জের ধরে মাদক ব্যবসায়ী দম্পত্তীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বাদী ও তার ভাড়াটিয়াকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এর ধরাবাহিকতায় গত ৭ নভেম্বর সকাল ৯টায় মাদক ব্যবসায়ী গাজী ও তার স্ত্রী লিপি বেগম নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার নসু মিয়া ছেলে খোকন ভেন্ডার শহরের হাজীগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল হক মিয়ার ছেলে মামুন ও নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে মনির হোসেনসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন অবৈধ ভাবে জনতাবদ্ধে একত্রি হইয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নবীগঞ্জ বাগবাড়ী স্ট্যান্ডের বাদী ভাড়াকৃত বাসায় অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে বাদী ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় আহত ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগম বিষয়টি ফোন করে বাড়ি মালিক বাদীকে জানায়। এক পর্যায়ে বাদী তার ছেলে মুস্তাছির রহমান স্বজন ও বাদীর ভাগ্নিা আদনান পলককে ঘটনাস্থলে পাঠালে ওই সময় মাদক ব্যবসায়ী গাজী ও তার স্ত্রী লিপি বেগম ও খোকন ভেন্ডারসহ উল্লেখিত আসামীরা বাদী ছেলে ও ভাগ্নিাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। ওই সময় হামলাকারিরা ঘরের আসভাবপত্র ভাংচুর করে ১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধনসহ বাদির ভাগ্নিার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।