নারায়ণগঞ্জ বন্দরে জন্মদাতা পিতা কর্তৃক ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নিজ কিশোরী মেয়ে (১৩)কে ধর্ষণের ঘটনার র্দীঘ ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লম্পট পিতা শরীফ হোসেন বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৮(৭)২৩।
এর আগে গত ২৫ মে দুপুর ২টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পিচ কামতাল এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। লম্পট ধর্ষক শরীফ হোসেন (৩৫) উল্লেখিত এলাকার আউয়াল মিয়ার ছেলে। পুলিশ বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরিক্ষা পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী বন্দর বালিগাওস্থ মাজহিরুল উলুম মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণী ছাত্রী বলে জানা গেছে।
মামলার বাদিনী জানিয়েছে, আমার স্বামী শরীফ একজন চরিত্রহীন লোক। পথে ঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করে ও ধর্ষণ করার সুযোগ খোঁজে। গত ১৫ বছর পূর্বে শরীফের সাথে আমার বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে ১৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে আমার মেয়ে স্থানীয় মাজহারিুল উলুম মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর ২টায় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী তাদের নিজ ঘরে খাবার খাওয়ার সময় লম্পট পিতা শরীফ পেছন থেকে এসে গামছার মাধ্যমে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক শয়ন কক্ষের বিছানায় নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষক পিতা শরীফ ধর্ষিতা মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা মেয়ে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে এবং মা ভাইয়ের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখে। ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষকের পিতা-মাতা, চাচা-চাচিসহ পরিবারের অন্যান্যরা ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বারের সহযোগিতায় ধর্ষকের লোকজন ধর্ষণের ঘটনাটি আড়াল করার জন্য আমাকে ও আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় বিচার চেয়ে না পেয়ে গত সোমবার (২৪ জুলাই) আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে ধর্ষক শরীফকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পিতা শরীফ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।