বন্দরে টেইলারিং জামা কাপড় ডেলিভারি দিতে গিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষণের ঘটনার ওই দিন রাতে লম্পট ধর্ষক পিয়াস (২৭)কে গ্রেপ্তার করেছে । গত বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক পিয়াস উল্লেখিত এলাকার মৃত রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলাস্থ বিবাদী ফাহিমা বেগমের বসত ঘরে ঐ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে লম্পট ধর্ষক পিয়াসকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩(৪)২৩। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ডাক্তারি পরিক্ষা নিরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মা বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। সে পেশায় একজন দর্জি শ্রমিক। দর্জি কাজ করার সুবাদে একই এলাকার প্রতিবেশি মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমা বেগম থ্রিপিছ তৈরির জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষার্থী মাকে কাজ দেয়। পরে থ্রিপিছ তৈরি হয়ে গেলে গত বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় দর্জি শ্রমিক তার ১৩ বছরের মেয়েকে থ্রিপিছ ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ফাহিমা বেগমের বাড়িতে পাঠালে ওই সুযোগে লম্পট পিয়াস জোর পূর্বক ভাবে তাদের বসত বাড়ি হাই কমোডযুক্ত বাথরুমে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে। পরে লম্পট ধর্ষক পিয়াস ধর্ষণের বিষয়টি আড়াল করার জন্য ধর্ষিতাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ধর্ষণের ঘটনার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ধর্ষক পিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরিক্ষার পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।