ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি কালে ধারালো অস্ত্রসহ জাতীয় ছাত্র সমাজের কর্মী সুজন (৩০)কে আটক করেছে বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে আরো ৪/৫ জন ছিনতাইকারি। প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি জানা গেলেও বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গত শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১১টায় বন্দর থানার লেজারার্স এলাকাস্থ বাসু মিয়ার ডকইয়ার্ডের সামনে থেকে ওই ছিনতাইকারিকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ছিনতাইকারি সুজন বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে সাধারন পথচারিদের টার্গেট করে বন্দর লেজারার্সস্থ বাসু ডকইয়ার্ডের সামনে ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে জাতীয় ছাত্রসমাজের কর্মী সুজনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন উল্লেখিত স্থানে অবস্থান করে। ওই সময় ছিনতাইকারিরা বন্দর ফাঁড়ী টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে কেয়কটি ধারালো অস্ত্রসহ ছিনতাইকারি সুজনকে আটক করে। ছিনতাইকারি আটকের সংবাদ পেয়ে বন্দরে বেশ কয়েকজন সংবাদ কর্মী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তথ্য ও ছবি তুলতে চাইলে ওই সময় বন্দর ফাঁড়ী এসআই নাহিদ মাছুম উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের তথ্যদিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক নাহিদ মাছুম এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতকে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আরো জানান ধারালো অস্ত্র বাদ। এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সুজনসহ তার পালিয়ে যাওয়া সাঙ্গপাঙ্গরা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত করে আসছে। ছিনতাইকারি সুজন নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছাত্র সমাজের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে।