গত এপ্রিল মাসে বন্দরে বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ৪৪ টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ২টি, মাদক মামলা হয়েছে ২০টি, নারী ও শিশু ২টি, চুরি ২টি, ধর্ষন ১টি, সড়ক দুর্ঘটনা ২টি, দ্রুত বিচার আইনে ১টি ও অন্যান্য মামলা হয়েছে আরো ১৪টি। তবে গত এপ্রিল মাসে বন্দর থানায় ডাকাতি কোন মামলা দায়ের হয়নি।
পুলিশের দাবি জুন মাসে বন্দরে আইন শৃঙ্খলা যে কোন মাসের চেয়ে অনেক ভালো। ২০টি মাদক মামলায় পুলিশ বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ধর্ষণ মামলায় পুলিশ ৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। ২০টি মাদক মামলায় পুলিশ ২ হাজার ৪’শ ৬৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯৬ কেজি ৫’শ গ্রাম গাঁজা, ৭৫৪ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ গত এপ্রিল মাসে ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে ২ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীনসহ সিআর মামলার ২০ জন ও জিআর মামলার ৩৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড়া নেই । গত মাসে ৪৪টি মামলার মধ্যে ২০টি মামলাই মাদকের। ২০টি মাদক মামলায় ৩০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০টি মাদক মামলায় র্যাব, জেলা কাউন্টার টোরিজম ইউনিট, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বন্দর থানা পুলিশ গত মাসে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বন্দরে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাতের বেলায় বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল জোরদার রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বন্দর থানা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি বন্দরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।