বন্দর উপজেলার বিভিন্ন রুটে গণপরিবহনের ভাড়া আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছে সাধারণ যাত্রীরা। ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশেষ করে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর রুটে চলাচলরত গণপরিবহনের মধ্যে সিএনজি ও ইজি বাইকের ভাড়া অনেককাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও বন্দর ১নং খেয়াঘাট থেকে কলাগাছিয়া রুটের অটোরিক্সা ও মিশুক গাড়ী ভাড়া ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভূক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানিয়েছে, পূর্বে একজন যাত্রী মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হইতে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড গিয়ে বাস ভাড়া দিত ৩০ টাকা। এখন একজন যাত্রী মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে উঠে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩৫টাকা। এছাড়াও মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সিএনজির পূর্বে ভাড়া ছিল ২৫ টাকা । এখন ওই পথে একজন যাত্রীকে সিএনজি ভাড়া গুনতে হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান না থাকায় এ সুযোগে গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা সাধারণ যাত্রীদের নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ ছাড়াও এ রুটে ইজিবাইকের ভাড়াও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সাধারণ যাত্রীরা এ অভিযোগ তুলেছে।
মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কসহ বন্দরে বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে সাধারন যাত্রীরা পরেছে চরম বিপাকে। সরকারি নীতিমালা না মেনে বন্দরে বিভিন্ন গণপরিবহনের মালিক সমিতি ও শ্রমিক কমিটির অসাধু কর্মকর্তারা উক্ত রুটে ভাড়া বৃদ্ধি করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই রুটে চলাচলরত যাত্রী সাধারণরা। গণপরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম কুদরত এ খুদা জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ।