হোসেন বাবলা

পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন(৬৭) প্রথম ব্যাচের ছাত্র,অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্মৃতি চারণ করে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার আঃ,ফ,ম ইসহাক।

তিনি আরো বলেন,১৯৬৭সালে প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে তৎকালীন বিদ্যাৎসাহী, সমাজসেবক জাফর আহমদের উদ্যোগে মাত্র ১০ জন ছাত্র নিয়ে পতেঙ্গা হাই স্কুল শুরু হয়েছিল। জাফর আহমদের সাথে আরো ৫/৭ জন নিবেদিত প্রান উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন।

অপর প্রাক্তণ ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার মুজাহেরুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভৌতিক শক্তির কারণে দীর্ঘ বছর পরও এই পতেঙ্গা অঞ্চলে কলেজ প্রতিষ্ঠা না হওয়া।
বর্তমান দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এই প্রবীণ শিক্ষাবিদ।
এছাড়া প্রয়াত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,ডা: আবু রহমত (এ রহমান), বাবু মিলন কান্তি দাস,ডা,আইয়ুব আলী,সিরাজুল হক মাষ্টার(বিএসসি)সহ অন্যান্য গুনী শিক্ষক -শিক্ষীকা ও সমাজসেবক এবং বিদ্যাৎসাহীদের স্মরণ করিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রথম ব্যাচ৬৭’র ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার মুজাহেরুল আলম।
২৬ জানুয়ারি, শুক্রবার সকালে উৎসব কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর হাজী জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল হাই, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী আহমদ, পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোলতান আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান জাগির আহমদ, সমাজসেবক মোঃ মজিবুল হক,সিবিএ নেতা মোঃ শাহজাহান, শিক্ষীকা তসলিমা বেগম,উৎসব কর্মসূচির সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন খালেদ, প্রকাশনা উপ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ নাছির আলম,প্রাক্তন ছাত্র সেকান্দর আজম, মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ, উপ কমিটির অর্থ সচিব মোঃ তৈয়ব আলী, শাকিল হারুন ,ক্রীড়া সংগঠক এ,এম,এম মহিউদ্দিন খালেদ, মোঃ রফিকুল ইসলাম মোরশেদ, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ সাবের, মাওঃ মনিরুল হাসান,শিক্ষক মনোজ কুমার, খলিলুর রহমান (দাতা সদস্য), ওয়াহিদুল আলম মাষ্টার, মাহাবুবুল আলম ( বিএসসি) প্রমুখ।

প্রাণের স্কুল মাঠে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন,বর্ণাঢ্য র্র্যালী, আলোচনা সভা, স্মৃতি চারণ,ব্যাচ ভিত্তিক ফটো সেশন,মিলন কথক, ভোজন সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য পরিবেশন, লোকগীতি, বাউল গান,স্মরণিকা(মোহনা) ম্যাগাজিন, উপহার সামগ্রী এবং আকর্ষণীয় রেফেল ড্র এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
সু-দীর্ঘ পথচলার ৬০ বছরের ইতিবৃত্ত স্মৃতিময় হীরক জয়ন্তী উৎসব -২০২৪ ইং রাতে সুসম্পন্ন হয়।