বিশেষ প্রতিবেদন,চট্টগ্রাম
গতকাল ৯ জুন ভোরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এসময় খুনিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। বিশেষ করে নিহত মোঃ মনিরুজ্জামান রাফি (২৫) এর মা জান্নাতুল ফেরদৌস মেরী সোমবার দুপুরে উপ পুলিশ কমিশনার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের শেষে সোর চিৎকার ও কান্নার স্বরে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
১০ জুন, সোমবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার শাকিলা সোলতানা জানিয়েছেন জেদের বশে পরিকল্পিত ভাবে অপরাধ সংঘটিত করে শুধু মাত্র মোটরসাইকেলের উচ্চ আওয়াজের কারণেই ইয়ংওয়ানে কর্মরত মোঃ মনিরুজ্জামান রাফি(২৫) কে হত্যা করে।
এই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে অপর যুবক মোঃ রায়সান (২৬) রাফি কে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়েক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলন থেকে।
নিহতের পরিবারের পক্ষে মা জান্নাতুল ফেরদৌস মেরী, নানা দিদারুল আলম দিদার, মামা মোঃ রেজাউল করিম দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ আসামীদের ফাঁসি চেয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে উপ পুলিশ কমিশনার বন্দর জোন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকেই এই তথ্য জানান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে ধৃতদের কাছে কিছু জানতে চাইলে এরা একে অপরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার শাকিলা আরো বলেন, ধৃত ব্যক্তিরা সবাই অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং ঐদিন মদপ্য অবস্থায় পূর্বের ঘটনায় জের ধরে রাফি কে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠগড় মাইজপাড়া এলাকার যুবনেতা জুবায়ের বাশারের কাছ থেকে ছোরা ও কিশোরগেং নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে রাফি কে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে বন্ধু রায়সান (২৬) গুরুতর আহত হন।
নিহতের মা বাদী হয়ে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধৃত আসামিরা হলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২২), মোবারক হোসেন (২৩), ইকবাল হোসেন ইমন (২২), শাহরিয়ার আল আহমেদ (২০), তাহরিয়ার আহমেদ বাঁধন (২১), মারুফ চৌধুরী (২২) ও মোঃ জুবায়ের বাশার (৩৪), সাং -আবুল বশরের বাড়ী, উত্তর পতেঙ্গাস্থ ধূমপাড়া ৪০ নং ওয়ার্ড। নিহত মোঃ মনিরুজ্জামান রাফি (২৫) বন্দরের ৩৮নং ওয়ার্ডের মধ্যম হালিশহরের বাকের আলী ফকির টেক ইসমাইল মালুম বাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানান।