নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চর কিশোরগঞ্জে গরুর হাট নিয়ে বিরোধের জেরে (১২ জুন ) বুধবার সকালে সন্ত্রাস রাসেলবাহিনীর সদস্যরা ৩জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম শহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ ইব্রাহিম বাদী হয়ে
এ অভিযোগ দায়ের করে।
ইব্রাহিম তার অভিযোগে উল্লেখ করে,
এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ ইব্রাহিম (৪২), পিতা-মোঃ শহিদ উল্লাহ, মাতা- মোসাঃ আসমা বেগম, সাং- চরহোগলা, ইউপি-শম্ভুপুরা, থানা-সোনারগাঁ থানায় আসিয়া বিবাদী ১। রাসেল (৩২), পিতা- মৃত নাসির উদ্দিন, সাং-উত্তর চর হোগলা, ২। শাহ আলী (৪০), পিতা-মৃত মোতালেব, সাং-চরকিশোরগঞ্জ, ৩। সোহেল (৪৫), পিতা- মৃত আব্দুর রহিম, সাং-পশ্চিম চর হোগলা, ৪। আসাদ (৩৫), পিতা- মাহাবুল্লাহ, সাং-পশ্চিম চরহোগলা, ৫। আফসার (৪২), ৬। আহম্মদ আলী (৪৫), উত্তর পিতা-মৃত মোতালেব, সাং-চরকিশোরগঞ্জ, ৭। মহিউদ্দিন (৪৭), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- চরকিশোরগঞ্জ, ইউপি-শম্ভুপুরা। অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২৪ উপলক্ষে চর কিশোরগঞ্জ মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারাদার হিসেবে মোঃ জুবের আলম ডাক পায়। গরুর হাটের ইজারাদার পাওয়াকে কেন্দ্র করিয়া বিবদীদের সহিত বিরোধ শুরু হয়। উক্ত হাটের প্রাক প্রস্তুতি হিসাবে বাঁশ পোতা সহ আনুষঙ্গীক কাজকর্ম করার জন্য উক্ত ইজারাদারের প্রতিনিধি হিসাবে উক্ত হাটে যাওয়ার পথে ১২ জুন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সোনারগাঁ থানাধীন চর কিশোরগঞ্জ মার্কেট এর দক্ষিন পাশে বাতেনের ফার্মেসির সামনে পৌছিলে পূর্ব হইতে ধারালো রামদা, ছেনদা, চাপাতি, ছোরা, লোহার রড, হাতুড়ি, এসএস পাইপ সহ দেশিয় অস্ত্র সঙ্গে সজ্জিত হইয়া আমার পথরোধ করিয়া অতর্কিত ভাবে হামলা চালাইয়া আমাকে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। তখন ১নং আসামীর হুকুমে ২নং আসামী শাহ আলীর হাতে থাকা ধারালে ছেনন্দ দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার সহকর্মী ফারুক (৪৪), পিতা-মৃত নুর মোহাম্মদ, শফির মাতবর (৭০), পিতা- মৃত অলি মাতববর, জালাল মাতবর (৬০), পিতা-মৃত আবুল মাতবরগণ এগিয়ে আসিলে বিবাসীগণ তাহাদের ও মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফলা জখম করে। ৩নং বিবাদী সোহেল এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে শফির মাতববর এর মাথায় বাড়ি মারিলে সে ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে বাড়িটি ডান হাতে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। ৪নং বিবাদীর হাতে থাকা হাতুড়ী দ্বারা এবং ৫নং বিবাদী রড দিয়া আলাল মাতববরকে ও ফারুককে এলোপাথারী ভাবে পিটাইয়া হাতে পায়ে, পেটে, পিঠে মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে বিবাদীগণ পরবর্তীতে খুন,জখমের হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে ও ফরুককে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং শফিক মাতবরকে চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।