আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বন্দর থানায় দালাল চক্র, তদবিরকারক ও পুলিশ র্সোসের আনাগোনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন কথা জানিয়েছে সচেতন মহল। তারা আরো জানিয়েছে, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বন্দরে দালাল চক্র, পুলিশ সোর্স ও তদবির কারকদের তৎপরতা ততই লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বন্দরে পুলিশ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারিসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে থানায় আনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে রাতারাতি বন্দর থানা ২১ নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদ ও সালেহনগর, ফরাজিকান্দা, দেউলী চৌরাপাড়া, তিনগাও এলাকার কতিপয় চিহিৃত দালাল চক্র, তদবিরকারকরা রাতেই থানায় ভিড় জমায়। পরে উৎকোচের বিনিময়ে কাউকে ১৫১ আবার কাউকে রাস্তায় থেকে ছেড়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
থানায় তদবিরকারক ও দালাল চক্রের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবার কেউ বা কার্ডধারী কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাধারন মানুষের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর থানায় কর্মরত এক দারগা জানিয়েছে, বন্দর থানায় তদবির কারকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বন্দরের কিছু নেতাদের জোর তদবিরের কারণে অনেক সময় আমাদের কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, থানায় তদবিরকারি থাকতে পারে তবে এখানে কোন দালাল চক্র নেই। প্রতিটি নাগরিকের পুলিশের সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বন্দর থানায় জিডি বা অভিযোগ দিতে কোন টাকা লাগেনা। কেউ টাকা পয়সা দাবি করলে আমাকে জানাবেন।