নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, আনোয়ার ভাই বলেন পঁচাত্তরের পর তিনি জেল খেটেছেন। পঁচাত্তরের পরে তো অনেকেই জেল খেটেছে। কে কী পেয়েছে। নেত্রী তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। আপনি অনেক পেয়েছেন। যারা পায়নি তাদের সুযোগ করে দেন। তিনি দলটিকে বিশ টুকরো করেছেন। আজ তিনি নৌকা মার্কা চান। তার দেখাদেখি অনেকেই পোস্টার লাগাচ্ছে।
গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২২নং ওয়ার্ডের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে একেএম শামীম ওসমান এমপির সহযোগিতায় অসহায় মানুষের পাশে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এডঃ খোকন সাহা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে ২০০১ সালের পর সাত আটটা খুন করে রাজনীতি করছেন। এগুলো আর হবে না। অনেক সহ্য করেছি। নেত্রী কিংবা শামীম ওসমান আমাদের আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রতি মাসের আট তারিখে একটা বাচ্চা ছেলেকে হত্যাকান্ডের দায়ে এততম মাস বলা হয়। আমরাও সন্তান হত্যার বিচার চাই। মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করা যাবে না। শামীম ওসমানকে গতকাল বললাম কী কারণে আপনি এখনও সহ্য করছেন। আমিসহ তিন সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আমি বলেছি আপনি অনুমতি দিলে প্রতিদিন ওদের নামে চারটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট দেখা দিয়েছে। এটাই বাস্তবতা। সারাবিশ্বে আজ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কোন ইফতার পার্টি এবার করতে পারবেন না। ইফতার পার্টির টাকা দিয়ে দুস্থ যারা আছে তাদের পাশে দাঁড়াতে, বাংলাদেশে কিন্তু গরীব নেই। মানুষ না খেয়ে মারা যায় না। উত্তর বঙ্গে আগে মন্দার কারণে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে থাকত। এখন অভাব অনটনে মানুষ না খেয়ে মারা যায় না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেনের সভাপতিত্বে মহানগর সেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মুজাহিদ সরকার জনির সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জালাল উদ্দিন জালু, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান খোকন ও বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ প্রমুখ।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক শেখ, সাবেক যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয়, ২৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফয়সাল কবির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আইন-বিষয়ক সম্পাদক সজীব মোল্লা, সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস আলম রাসেল, সাদিয়া সুলতানা শান্তা, নাজমা বেগম, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার, ১৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের মারুফ হাসান, ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাবেদ আহম্মেদ, ৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সানোয়ার হোসেন।