নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন মদনপুর ইউনিয়নের একটি প্রসিদ্ধ অঞ্চল কেওঢালা পশ্চিম পাড়ায় ভূইয়া বাড়ি মসজিদের জমি থেকে মাটি কাটা ও জমি দখলের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মিয়ার বিরুদ্ধে। অত্র এলাকার স্থানীয় ভূইয়া পরিবারের পূর্ব পুরুষগণের দানকৃত জমির উপর নির্মিত ভূইয়া বাড়ি মসজিদটি তৎকালীন সময় থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে ভূইয়া বাড়ি মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত মালিকানা অনুযায়ী প্রায় ৩৬.৫০ শতক জমি রয়েছে। (উল্লেখ্য, এই সমপরিমাণ জমি এলাকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত ৩০ বছর পূর্বে একই এলাকার ভিন্ন সমাজের জন্য দান করে ভূঁইয়া পরিবার)। কিন্তু হঠাৎ অজানা কারণে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মিয়ার বাঁকা দৃষ্টি পড়ে ওয়াকফকৃত একাংশ জমির উপর। ভূইয়া বাড়ি মসজিদ কমিটি ও এলাকার মুরুব্বীদের অনুমতি ছাড়াই মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে মসজিদের জমি থেকে।
এ বিষয়ে এলাকার জনগণের প্রশ্নের জবাবে সালাম চেয়ারম্যান জানান, তিনি মসজিদের জমি থেকে কিছু অংশ ক্রয় করে নিয়েছেন এবং তার উদ্দেশ্য দখলকৃত জমিতে ঈদগাহ নির্মাণ করা।
যদিও ঈদগা নির্মাণের জন্য এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি ভূইয়াবাড়ী মসজিদ লাগোয়া অন্য আরেকটি জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছে বহু পূর্বে থেকেই। সেক্ষেত্রে জনগণের মনে একটাই প্রশ্ন ঈদগাহের জায়গা নির্ধারণ থাকা সত্ত্বেও মসজিদের ওয়াকফকৃত অন্য আরেকটি জায়গায় কি কারনে সালাম চেয়ারম্যান ঈদ্গাহ নির্মাণের জোরপূর্বক প্রচেষ্টা করছে এবং জায়গা ক্রয়ের মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে সকলের নিকট।
ভূইয়া পরিবারের সদস্য মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া জানান, মসজিদের ওয়াকফকৃত জায়গা হতে সালাম চেয়ারম্যানের নিকট কোন জমি ভূইয়া পরিবারের সদস্য ও মসজিদ কমিটি বিক্রয় করেনি। কেননা পূর্বে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ভুইয়া পরিবার, মসজিদ কমিটির ও এলাকার জনগণ যথেষ্ট স্বাবলম্বী। তাই বিক্রয় করার কোন কারণ নেই। অতএব সালাম চেয়ারম্যানের জমি ক্রয়ের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া গত ৫’ই ফেব্রুয়ারী চারজন বাদী হয়ে আব্দুস সালাম চেয়ারম্যানকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে আব্দুস সালাম চেয়ারম্যান এর মতামত জানার উদ্দেশ্যে গণমাধ্যম কর্মীগণ ফোন করলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।