বন্দরে ২০নং ওয়ার্ডে চুরি ও মাদক ব্যবসা দুটোই ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিনেই উল্লেখিত ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসা বাড়ীতে অহরহ ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা। সে সাথে বেড়ে গেছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৭ জানুয়ারী) রাতে যে কোন সময়ে অজ্ঞাত চোরের দল বন্দর থানার সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে জনৈক আব্দুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাড়ীতে হানা দিয়ে ১ হাজার লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন সবুজ রং এর একটি মদিনা ট্যাংকি চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া বাড়ির কেয়ারটেকার মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে রোববার (৮ জানুয়ারী) দুপুরে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সচেতন মহল জানিয়েছে, বন্দরে ২০নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ বেঁদেপট্রি, মাহমুদনগর, সারোয়ার জুট মিল, সোনাকান্দা পানির ট্যাংকি, সোনাকান্দা তেঁতুল তলা, হাজীপুর, বেপারীপাড়া, ফরাজিকান্দা লাহরবাড়ীসহ এর আশে পাশের এলাকা গুলোতে মাদক ব্যবসা বৃদ্ধি হওয়ার কারনে উল্লেখিত এলাকায় চুরির ঘটনা ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায়। অজ্ঞাত চোরের দল সাধারন মানুষের বাসাবাড়ীতে কৌশলে প্রবেশ করে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, পানির ট্যাংকিসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজ পত্র।
বেপারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আহাম্মদ আলী জানান, মহামুদনগর ও সোনাকান্দা এলাকায় মাদক ব্যবসা বেরে যাওয়ার কারনে এ ওয়ার্ডে চুরি ঘটনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক সেবীরা নেশা সেবনের টাকা জোগাড় করতে তারা চুরিসহ ছিনতাই কাজেও জড়িত হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে বন্দরে দুই সাংবাদিকের বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক চুরি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বন্দর থানায় দুই দুইটি চুরি মামলা দায়ের হলেও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাগন এখন পর্যন্ত চোরাই জিনিসপত্র উদ্ধারের খবর জানাতে পারেনি। এ ছাড়াও গত শনিবার রাতে সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাইতাখালি এলাকার বাসিন্দা জনৈক আব্দুর রহমানের সোনাকান্দাস্থ ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে অজ্ঞাতনামা চোরের দল কৌশলে ১টি পানির প্লাস্টিকের ট্যাংকি চুরি করে ৭ হাজার ৬’শ টাকা ক্ষতি সাধন করে পালিয়ে যায়। চোরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে ২০নং ওয়ার্ডবাসী।