বন্দরে দাবিকৃত ৮লাখ টাকা চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশের জের ধরে সদ্য প্রবাস ফেরৎ বাড়ীওয়ালা মাসুদ আলম (৩৮)সহ একই পরিবারের ৪জনকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্ল্যাহ সানুর গুনধর সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ছোট ভাই ফকির উল্ল্যাহসহ তার সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে। ওই সময় চাঁদাবাজ ফকির উল্ল্যাহসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে সদ্য প্রবাস ফেরৎ বাড়ীওয়ালা মাসুদ আলমের ভাড়াটিয়া ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে। গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় ওই চাঁদাদাবির ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় প্রবাস ফেরৎ মাসুদ আলমের ছোট বোন নাসিমা আক্তার মুন্নী বাদী হয়ে চাঁদাবাজ ফকিরউল্ল্যা, বাবু ও সুমনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ঘটনার ওই দিন দুপুরে বন্দর থানায় একটি চাঁদাবাজী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। পরে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তালা খুলে দেয়।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগী বাদিনী নাসিমা আক্তার মুন্নী জানান, আমাদের দেশের বাড়ী লক্ষিপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রশিদপুর এলাকায়। আমার বড় ভাই মাসুদ আলম সৌদি প্রবাসী। গত ১লা জানুয়ারী আমার বড় ভাই সদ্য প্রবাস ফেরৎ মাসুদ আলম বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার বাসিন্দা নুরুল মিয়ার কাছ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ জায়গাসহ একটি বাড়ী ক্রয় করে। গত শুক্রবার সাবেক বাড়ীওয়ালা নুরুল মিয়া আমাদের বড় ভাইয়ের ক্রয়কৃত বাড়ীটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করে চলে যায়। সাবেক বাড়ীওয়ালা চলে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনার দিন বেলা ১১টায় সোনাকান্দা কড়ইতলা এলাকার মৃত আলাজউদ্দিন মিয়ার ছেলে ও বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্ল্যাহ সানু ছোট ভাই ফকির উল্ল্যাহ, একই ওয়ার্ডের এনায়েতনগর এলাকার বাবু, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড এলাকার মুজাম্মেল মিয়ার ছেলে সুমন একই এলাকার আশাবুদ্দীন মিয়ার ছেলে জনী ও রাসেলসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী আমার ভাইয়ের সদ্য ক্রয়কৃত বাড়ীতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে। পরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমাদের কাছে ৮লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় আমার ভাই টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বড় ভাই মাসুদ আলমকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। ওই সময় আমি ও আমার ভাবী এবং আমার আরেক ভাই নেসার হাসান (৪০) হামলাকারিদের কবল থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা আমাদেরকে পিটিয়ে নিলাফুল জখম করে ভাড়াটিয়া ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার ভাই মাসুদ আলম বন্দর থানা পুলিশে সরপন্ন হলে খবর পেয়ে পুলশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তালাবদ্ধ ঘর খুলে দেয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।