বন্দরে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকদের স্বজনরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বন্দর থানা পুলিশ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষক গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদিকে গনধর্ষণ মামলার ১ ও ৩ নং আসামীর আত্মীয়’রা নাসিক ২১ নং ওয়ার্ডস্থ রুপালী আবাসিক এলাকার চা দোকানি মোঃ আবুল কাসেম’কে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাকে মাদকদ্রব্য দিয়ে মামলায় জড়ানোর হুমকিও প্রদান করছে গণধর্ষণ মামলায় জেলে থাকা আসামীদের আত্মীয়রা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানায় দায়েরকৃত গণধর্ষণ মামলার বাদী (১৯) না’গঞ্জ নয়ামাটি হুসিয়ারীতে কাজ করে। বন্দর খেয়া ঘাট দিয়া আসা যাওয়ার পথে উত্তর রুপারী এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ১নং আসামী কামরুল ইসলাম জামান এর সাথে পরিচয় হয়। সে সুবাধে গত ২১ ফেবব্রুয়ারী দুপুরে সোনাকান্দা এলাকার মৃত হারুন চৌধুরী ছেলে ২নং এজাহারভূক্ত আসামী ইমন বন্দর থানাধীন সাবদী সাকিনস্থ মোল্লা বাড়ীর জনৈক রহমত মোল্লার বাড়ীতে বাদীকে নিয়া যায়। উক্ত বাড়ীতে ইং ২১ ফেব্রুয়ারী দুপুর ০২.৩০ ঘটিকার সময় ১নং আসামী বাদীকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। উক্ত বাড়ী হতে বাসায় যাওয়ার পথে বাদীকে ১নং আসামী ২ ও ৩নং আসামী হাসান (২৪), পিতা-আঃ সালাম, রুপালী আবাসিক এলাকা দ্বয়ের নিকট রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে ২ ও ৩ নং আসামীদ্বয় একই তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন দিঘলদী সাকিনস্থ মাধবপাশা দেলোয়ার প্রধান (চেয়ারম্যান) এর ফুলের বাগানে নিয়া ২ ও ৩ নং আসামীদ্বয় বাদীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ২ ও ৩নং আসামী বাদীকে একই তারিখ রাত ১১:০০ ঘটিকার সময় একটি রিক্সা উঠাইয়া দিয়া বলে বাসায় গিয়া উক্ত ঘটনার বিষয় যাতে বাদী কাউকে কিছু না বলে। বাদী বাসায় গিয়ে তার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলাপ আলোচনা করে থানায় এসে উল্লেখিতদের আসামী করে অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ৩ জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩) ধারায় ধর্ষিতার দায়ের করা মামলা নং-২৭(২)২৩, তাং-২২/০২/২৩ এ গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। উক্ত মামলার ১ নং আসামী জামান ও ৩ নং আসামী হাসানের ভাই আহাম্মদ আলী বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই (নিঃ) দীলিপ কুমার দাস এর সোর্স হিসেবি এলাকায় পরিচিত। এই সুবাদে ঘটণার দিন মধ্যরাতে স্কুলঘাট এলাকায় একটি চা দোকানের সামনে এএসআই দীলীপ কুমার দাস রুপালী আবাসিক এলাকার অপর চা দোকানী আবুল কাসেমকে গণধর্ষণ ঘটনাটি মিমাংসা করতে বলে জনসমক্ষে। আবুল কাসেম ত্যসময়ে জানায়, গণধর্ষণের ঘটণা তার পক্ষে মিমাংসা করা সম্ভব না। উক্ত ঘটণা মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা না করার কারণে ৩ নং আসামীর বড় ভাই এএসআই দীলিপ কুমার দাস এর সোর্স আহাম্মদ আলী তার পিতার রিকশা গ্যারেজ সংলগ্ন চা দোকানী আবুল কাসেমকে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি প্রদান করাসহ মাদকদ্রব্য দিয়ে মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদান করছে। আবুল কাসেম বলেন, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এবিষয়ে আমি আইনি সহায়তা গ্রহণ করবো।