বন্দরের ঐতিহ্যবাহী সিরাজদ্দৌল্লাহ ক্লাবে বন্দর নগর পঞ্চায়েত কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বন্দর ফাঁড়ী ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম (পিপিএম)-কে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। গত শুক্রবার ( ২ জুলাই) রাতে তাকে এ সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম (পিপিএম) সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় তার পক্ষে দুইজন পুলিশ অফিসার ক্রেস্ট গ্রহন করেন।
ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দর পঞ্চায়েত কমিটির আহ্বায়ক মিয়া খালেকুজ্জামান (জামান ভাই), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসারফ হোসেন খান, মিয়া বাবু, কাজি বাদল, কাজি সহিদ, কাজি রাসেল, কাজি বাসির, মো: হাসান খান, মিরাজ আহমেদ (সজিব), শংকর দাস এবং ওহাব মিয়া সহ আরো অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যক্তিগত উদ্ধোগে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে দিনে এবং রাতে ১টার সময় সন্ত্রাসী কায়দায় লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন দিলে সাথে সাথে বন্দর থানার ওসি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। লুটপাটকারীদের মূল হোতা উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা এ.কে.এম কুতুবুদ্দিন খান এবং তার ছোট ভাই জসিম উদ্দিন খান। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চারটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, বর্তমান জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে স্বারকলিপি এবং অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দেয়া হয়েছে পুলিশ সুপার, চেয়ারম্যান বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ, নির্বাহী অফিসার বন্দর উপজেলা, সভাপতি বন্দর প্রেস ক্লাব এবং বন্দরনগর পঞ্চায়েত কমিটি সভাপতি সহ অনেকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক বন্দর থানা রেজাউল করিম (পিপিএম) ঘটনাস্থলে এসে সবকিছু দেখে দু:খ প্রকাশ করেন এবং বলেন এমন একটি বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে তারা ধ্বংস করে দেয়া জঘন্য অপরাধ। এ সময় পুলিশ পরিদশক রেজাউল করিম এ.কে.এম কুতুবুদ্দিন খানকে সরাসরি ফোন করে জানান, বিষয়টি মিমাংসা না করা হলে ফৌজদারী আইনে মামলা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।