সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাউকে ৫০০ টাকা, কাউকে ৫৫০ টাকা আবার কাউকে ৬০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ ভাতার পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সংস্থাটি একই সঙ্গে এ বিষয়ে অনিয়ম রোধের তাগিদ দিয়ে বলেছে, উপকারভোগী সঠিকভাবে নির্বাচন করা হয় না। ফলে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধিদল। দলটি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আগামী ৮ মে পর্যন্ত বৈঠক করবে।
সূত্র জানায়, ভাতা বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে সামনে আনে আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থাকা উচিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। তাদের জন্য কর্মসূচিগুলোর সম্প্রসারণও করা উচিত।
অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে আইএমএফের দলকে জানানো হয়, আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কয়েকটি কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ানো হবে। বৃদ্ধির সংখ্যা হবে পাঁচ লাখের বেশি। তবে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আগামী বাজেট ছোট রাখা হবে। ফলে ভাতার হার আপাতত বাড়ানো সম্ভব হবে না।
উপকারভোগী ব্যক্তিরা যাতে সঠিকভাবে নগদ অর্থ পান, সে ব্যাপারে ১ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ। এতে বলা হয়, বর্তমানে অনেক কর্মসূচির ভাতা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে দেওয়া হলেও অনেক সময় উপকারভোগী ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নিবন্ধন করা হয় না। তাই টাকার অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে কোনো উপকারভোগীর আঙুলের ছাপ নেওয়া না গেলে বা তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে এ নিয়ম শিথিল করা হতে পারে। আইএমএফকে এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বর্তমানে কর্মসূচি আছে ১১৫টি, আগামী অর্থবছরেও তাই থাকবে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম খাতে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো ডট কম