নিরিহ দিনমজুরকে গনধর্ষনের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি শিউলী, লিপি ও বাবু কর্তৃক প্রতারনা মাধ্যমে দুই পরিবারের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি ৩ প্রতারক বিষয়টি ধামপাচাপা দেওয়াসহ নিজেদের বাঁচাতে তারা বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছ বলে এলাকাবাসীর সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
গত রোববার (২৩ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে বন্দর কলাবাগস্থ জনৈক আলি মিয়া ও হারুন মিয়ার পরিবারের কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় উল্লেখিত প্রতারক চক্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর কলাবাগ এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক পরিচয়দানকারি দুই নারী শিউলী ও লিপির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠছে বন্দর কলাবাগসহ বিভিন্ন এলাকার শান্তি প্রিয় জনগন। কতিপয় সাংবাদিক পরিচয়দানকারি শিউলী শেল্টারে তারই বোন জামাতা ওসমান গনী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কলাবাগ এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারসহ বন্দর লেলাইন, টিনের মসজিদ ও ঝাউতলা এলাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসাসহ বহু অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পরছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি নারী শিউলী ও তার বোন জামাতা ওসমান গনী। সাংবাদিক পরিচয়দানকারি নারী শিউলী ও তার সহযোগী লিপি ও বাবু অপকর্ম নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কারনে শিউলীসহ তার বোন জামাতা ওসমান গনী নিরীহ দিনমজুর আলীসহ তার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করার জন্য হুমকি দামকি অব্যাহত রেখেছ। এ ঘটনায় সাংবাদিক পরিচয়দানকারি শিউলী ও লিপি এমন কি বাবুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তসহ সাংবাদিক পরিচয়দানকারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার নবাগত ওসি আবু বকর ছিদ্দিকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বন্দরে সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, ১ বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার শিউলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থেকে শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছে ভূক্তভোগী পোষাক শ্রমিক নারী। গত ৩মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে ভূক্তভোগী নারীর সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হয়। একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ডিউটি শেষ করিয়া বন্দর খেয়াঘাট পার হইলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন,বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫’শ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।