নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, ৮ ম ধাপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক পেয়ে গনসংযোগ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাজী শাহ মোঃ সোহাগ রনি।
মঙ্গলবার (২৪ মে ) ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নগর সাদীপুর, বড়সাদী পুর, ষোলপাড়া, বিশেষ খানা,ফুলবাড়িয়া, ডহরপাড়া গোহাট্টা এলাকায় গন সংযোগ করে নৌকা মার্কায় ভোট চান সোহাগ রনি। এ সময় নৌকা প্রতিকে ভোট দিতে ঐক্যবদ্ধ আছেন বলে দাবী করেন এলাবাসী।
গণসংযোগ কালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহাগ রনি বলেন, মানুষের যে ৭টি মৌলিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো (১)কৃষি, খাদ্য এবং পুষ্টিঃ
কৃষি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথযাত্রা শুরু করেন শেখ হাসিনা। কারণ, এটি ঠিক থাকলে মানুষের জীবনযাত্রার অন্যান্য সুবিধাদিও বাড়ে। আর আমাদের দেশের সর্ববৃহৎ ক্ষেত্রটাই হলো কৃষি। কমপক্ষে ৪৩ শতাংশ মানুষ এই সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই প্রধানমন্ত্রী মনে করতেন- কৃষিজ উৎপাদন বাড়লে শুধু মানুষেরই আয় বাড়ে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিকাশ ঘটে। কোনো দেশের মানুষের ক্ষয়ক্ষমতা বাড়লে সেই দেশের কারখানা, শিল্প, বাজার, বাণিজ্য, এমনকি রফতানি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন এবং গ্রামেও শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে তাই তিনি গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। এমনকি চাষযোগ্য কোনো জমি যেনো অনাবাদি পড়ে না থাকে, সেজন্য চারটি বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।
(২)স্বাস্থ্যসেবাঃ
গণমানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে বড় পরিসরে কাজ করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকার। যেমন- হাসপাতাল এবং ক্লিনিক নির্মাণ, সর্বোস্তরের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা। আমাদের দেশ হয়তো এখনো স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো উন্নত অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি, কিন্তু বিগত বছরগুলোতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সরকার এই সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করবে বলেও এক লেখায় জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
(৩)আধুনিক শিক্ষাঃ
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই শেখ হাসিনার সরকার সর্বজনীন শিক্ষার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ নেয়। কারণ জনসংখ্যাই আমাদের মূল সম্পদ। তাই এই জনগণকে শিক্ষিত করার মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। শিক্ষিত জনগণের মাধ্যমে সৃজনশীল উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়ে এবং তারা নিজেদের সমস্যার নিজেরাই সমাধানে সক্ষম হন। শিক্ষিতরা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন, ফলে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সরকার বয়স্ক শিক্ষাও চালু করে। এমনকি ধর্মভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ফলে আমাদের দেশের সর্বোস্তরের মানুষ ধীরে ধীরে শিক্ষার আওতায় চলে আসে।
(৪)আশ্রয়ণঃ
বাংলাদেশে যতো ধরনের অসমতা ও বৈষম্য রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম একটি হলো বাসস্থান বা থাকার জায়গা। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। গৃহহীন মানুষের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্রের হারও কমতে থাকে, ফলে সমাজের অসাম্য হ্রাস পেয়ে সমতা বৃদ্ধি পায়। এই উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেওয়া হয়েছে বলে এক নিবন্ধে লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পর ভূমিহীনদের মাথাগোঁজার ঠাঁই দিতে বঙ্গবন্ধু গুচ্ছগ্রাম তৈরি করেছিলেন। সেটার অনুকরণে রাষ্ট্রীয় ভূমি ব্যবহার করে অসহায় মানুষদের ঘর করে দেওয়ার সেই উদ্যোগকে আরো সম্প্রসারিত করেছেন শেখ হাসিনা।
(৫)নারী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নঃ
বৃদ্ধ, বিধবা, প্রতিবন্ধী, অতি-দরিদ্র, আসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। চলতি অর্থ-বছরে সামাজিক সুরক্ষা খাতে আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে ৯৫৬ মিলয়ন টাকা (প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, বেদে, ভাসমান মানুষসহ সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর কমপক্ষে সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই সামাজিক নিরাপত্তা সেবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি যেকোনো দুর্যোগে বিনামূল্যে খাদ্যও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অসহায় মানুষদের কাছে।
(৬)শিশুদের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়ালাইজ দ্যা আইডিয়ালস অব শেখ হাসিনা’ শিরোনামে লেখা ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছেন- ‘আমার বাবা শিশুদের ভালোবাসতেন। তার পাঁচ জন সন্তান ছিলেন এবং জীবনে দীর্ঘ সময় জেলে থাকার কারণে তিনি সবসময় নিজের পাশে সন্তানদের অভাব বোধ করতেন। আমার ছোট ভাই শেখ রাসেল, যাকে ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে বাবার সাথে জীবনের একটা ভালো সময় কাটিয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে আমার বাবা শিশুদের কল্যাণের জন্য অনেক রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার সংক্ষিপ্ত সময়ের শাসনামলেই তিনি শিশু আইন পাশ করেন এবং সব শিশুর জন্য বিনামূল্যে প্রাইমারি শিক্ষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন।আমার বাবার এসব উদ্যোগ দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
এর ফলে সরকার গঠনের পর শিশুদের জন্য মঙ্গলময় ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়মিতই উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা।
(ক) আইন ও নীতিমালা
(খ) নীতি এবং পরিকল্পনা
(গ) শিশুদের জন্য সুবিধা
(ঘ) সহিংসতার বিরুদ্ধে কর্মসূচি (ঙ) খেলাধুলা
(চ) সরাসরি আর্থিক সাহায্য
তাই উন্নয়নে অংশ নিতে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বাসীকে নৌকায় ভোট দিতে আহবান হাজী মোঃ সোহাগ রনির।