বন্দরে ২৪নং ওয়ার্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অপকর্মে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেউলী চৌরাপাড়াসহ এর আশে পাশের এলাকা গুলো। বল্টু আমজাদের নেতৃত্বে প্রতিদিনই উল্লেখিত এলাকাসহ এর আশে পাশের এলাকা গুলোতে প্রতিনিয়ত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। তার নির্যাতনের খড়গ থেকে রেহাই পায়নি দিনমজুর পিয়ার হোসেন। সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে দিনমজুর পিয়ার হোসেন। গত ২রা ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌরাপারা এলাকায় ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দীর্ঘ ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে আহতের বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২রা ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে দেউলী চৌরাপারা আকিজ কোম্পানীর নির্মানাধীণ প্রজেক্টে বক্তারকান্দী এলাকার আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে দিনমজুর পিয়ার হোসেন মজুরের কাজ করছিল। ওই সময় আকিজ কোম্পানীর ঠিকাদারী কাজ না পেয়ে পূর্ব শত্রুতার বিরোধে বক্তারকান্দী এলাকার আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে দিনমজুর পিয়ার হোসেনের সঙ্গে সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদের ছেলে মাদকসেবী আপনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতিতে রুপ নেয়। খবর পেয়ে সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন ওরফে বল্টু আমজাদের নেতৃত্বে তার ছেলে হৃদয়,একই এলাকার শফিউদ্দিনের ছেলে জুয়েল, রুবেল এবং আনোয়ার মিয়ার ছেলে রাব্বিসহ ১৫/২০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল সাবল, লোহার রড ও টেটা নিয়ে নোয়াদ্দাস্থ আকিজ কোম্পানির সামনে অবস্থান নেয়। পরে দিনমজুর পিয়ার হোসেনের গতিবিধি লক্ষ করে পথরোধ করে মারধর করতে থাকে। এ সময় পিয়ার হোসেন এতে প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসী আমজাদ ও তার ছেলে আপনের হাতে থাকা রামদা ও টেটা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় পিয়ার হোসেনের ভাতিজা ইমরান ও তার ২ ভাই সুজন ও নাজির নিরিহ দিনমজুর পিয়ার হোসেনকে বাঁচালে এলে হামলাকারীরা তাদেরকেও লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহতদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামীরা হত্যার হুমকিসহ পালিয়ে যায়।