বন্দরে মৎস খামারী আলী আহাম্মেদের সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান প্লাটা সংবাদ সম্মেলন করেছে। রোববার (২ অক্টবর) বিকেল ৪টায় বন্দর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, গত শনিবার বন্দর প্রেসক্লাবে আলী আহাম্মদ আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, আমি নাকি তার মাছের খামার ভরাট করে মাছের পোনা ধ্বংস করছি এবং লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করছি। প্রকৃত পক্ষে যে সম্পত্তি আমি ভরাট করছি তা আমাদের বৈধ মালিকানা। আমার কাছে এর বৈধ দলিল ও কাগজপত্র রয়েছে। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে ওসি সাহেব আমাদের তলব করলে আমরা আমাদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গেলেও আলী আহাম্মদ তিনি কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে দেখাবে বলেও তিনি পরবর্তিতে থানায় আর যাননি। তার আনিত অভিযোগ মিথ্যা। যদি তিনি বৈধ কাগজ দেখাতে পারে তবে আমি তা ছেড়ে দেব। আমি আমার বৈধ জায়গা ভরাট করছি। আলী আহাম্মদ কারো পরোচনায আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও আদালতে পিটিশন দায়ের করেছে।
হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে আরো বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের মাধ্যমে অবগত করছি যে, নিম্ন তফসিলভুক্ত বিভিন্ন দাগে ১ হাজার ৩’শ ৫১.২৫ শতাংশ ভূমির মালিক ছিলেন মরহুম তমিজউদ্দীন সরদার। তাঁর সম্পাদনকৃত বন্দর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত আমমোক্তার নামা দলিল নং- ৩৩৪২,তাং- ২৩/১১/১৯৮৯ খ্রিঃ মূলে জনৈক মোঃ জাকির হোসেনকে আমমোক্তার নিয়োগ করে। আম মোক্তার মোঃ জাকির হোসেন উক্ত সম্পত্তি বিভিন্ন জনের কাছে সাব বিক্রি করে। উক্ত জাকির হোসেন কর্তৃক বন্দর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পাদনকৃত সাব কবলা দলিল নং- ৩৪৮৩, তাং- ৬/১২/১৯৮৯ খ্রিঃ মূলে আমার বড় ভাই মোঃ হেসেন এর স্ত্রী মোসামৎ খোদেজা বেগমের নামে খরিদ করে ৭০ শতাংশ। নিজনামে নামজারী করে খরিদকৃত ভূমি ভোগদখলে নিয়জিত থাকাবস্থায় বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন এবং বাড়ী নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে। তাদের খরিদকৃত উক্ত ভুমি আমিসহ আমার ভাইয়েরা দেখাশোনা করে আসছি। সম্প্রতি উক্ত ভূমিতে থাকা মজা পুকুর আমার ভাবির প্রয়োজনে ভরাট কাজ শুরু করলে বন্দর কলাবাগ এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে মোঃ আলী আহাম্মদ একটি কুচক্র মহলের সহযোগীতায় বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হয়রানি করাসহ আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বালু ভরাট কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছে। এবং আমাকে ও আমার ভাই মোঃ শফিকুল ইসলামকে বিবাদী করে আলী আহাম্মদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মিস পিটিশন নং- ৬৯৫/২০২২, তাং- ২১/৯/২২ দায়ের করে। আদালতের নির্দেশক্রমে বন্দর থানা পুলিশ তদন্তকালে উক্ত ভুমির মালিকানা বিষয়ক প্রমাণাদি তদন্ত কর্মকর্তাকে দেখিয়েছি। আাদালতের ধার্য্যকৃত পরবর্তী ১৪/১১/২২ তারিখে আদালতে হাজির হয়ে ভূমির মালিকানা বিষয়ক প্রমাণাদি দাখিল করবো। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
গত শনিবার বন্দর প্রেসক্লাবে আলী আহাম্মদ তার মাছের খামার বালু দিয়ে ভরাট করে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করছে বলে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে ড্রেজার ব্যবসায়ী উজ্জল বলেন, এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে হাবিবুর রহমান সাহেব টাকা দিয়েছেন তার জমি ভরাটের জন্য। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের মধ্যে কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়েও বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। যাহা মিথ্যা।