বন্দরে দুর্বৃত্ত কর্তৃক মিশুক চালক ফেরদৌস হাসান (২১)কে জবাই করে হত্যার পর মিশুক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মিশুক চালকের পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৪(৯)২২ ধারা- ৩০২/৩৪/৩৯৪ পেনাল কোড-১৮৬০ ।
নিহত মিশুক চালক ফেরদৌস হাসান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদিস্থ জাহাঙ্গীর নগর এলাকার দিনমজুর নজরুল ইসলামের ছেলে। এর আগে গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা হইতে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলী এলাকার জনৈক মঞ্জু মেম্বারের আবাসন প্রজেক্টের ভিতরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে সাড়ে ৫টায় মিশুক চালক ফেরদৌস হাসান জিবীকার তাগিদে মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পরে ওই দিন রাত ৯টায় মিশুক চালকের পিতা নজরুল ইসলাম তার ছেলে ব্যবহারকৃত ০১৯৪০৯৮৭৭০৮ নাম্বারে ফোন করে না পেয়ে ওই রাতে মিশুক গাড়ী মালিক দেলোয়ার হোসেনের কাছে ছেলে খোঁজ নিতে আসে। ওই সময় মিশুক মালিক দেলোয়ার জানায় মিশুক চালক ফেরদৌসের সাথে রাত ৯টায় কথা হয়েছে। পরে একই রাতে ১১টা ১৫ মিনিটে মিশুক চালকের পিতা নজরুল ইসলাম ও মিশুক মালিক দেলোয়ার হোসেন মিলে মিশুক চালক ফেরদৌসের ব্যবহারকৃত নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলে উক্ত ফোনটি রিসিভ না করায় মিশুক চালকের পিতা ও মিশুক মালিক মিলে মিশুক চালককে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুজি পর মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় স্থানীয় এলাকাবাসী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলী এলাকার জনৈক মঞ্জু মেম্বারের আবাসন প্রজেক্টের ভিতর থেকে হাতা পা বাধা অবস্থায় জবাইকৃত লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত মিশুক চালকের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় মামলা হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, মিশুক চালক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।