বন্দরে সামিয়া আক্তার (১২) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারন ডায়রী এন্ট্রি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্রীর পিতা সম্রাট ওরফে শফিকুল বাদী হয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাতে বন্দর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করেছেন।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলীনগর এলাকা থেকে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নিখোঁজ জিডি বাদী সম্রাট গণমাধ্যমকে জানান, আমার মেয়ে সামিয়া আক্তার স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে আমার মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে দোকানের সামনে আসলে ওই সময় অজ্ঞাত অপহরণকারিরা আমার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভাবে অপহরণ করে সিএনজি যোগে পালিয়ে যায়। পরে জনৈক নাঈম খান নামে এক ব্যক্তি তার ব্যবহারকৃত ০১৯৬৭১৪২১৮১ নাম্বার থেকে আমার বড় মেয়ে তাসলিমার ব্যবহারকৃত ০১৯২৩৩১৭৭২৫ নাম্বারের ফোন দিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে বলে তোমার বোনকে আমার ভাতিজা টিকটকার আরিফুল ইসলাম অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এক লাখ টাকা মুক্তিপন দিলে আমরা তোমার বোনকে ছেড়ে দিবে বলে ফোনটি কেটে দেয়। নিখোঁজ ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আমি মেয়ের কোন হদিস পায়নি।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ জিডি তদন্তকারি কর্মকর্তা মদনগঞ্জ ফাঁড়ী এসআই সিহাব জানান, নিখোঁজ জিডি পেয়ে আমরা মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।