বন্দরের ভূমি অফিসগুলোতে নামজারীতে চলছে আকাশচুম্বী দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রাহক তার জমির নামজারী করতে গেলে নানা অযুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়। মূল কথা হলো ভূমি অফিস কর্তৃক পালিত ওমেদা বা দালালের মাধ্যমে নামজারী করতে দিলে তা অনায়াসে হয়ে যায়। আর এতে করে ভূমি অফিসের কর্মচরী ও কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। মদনগঞ্জ ভূমি অফিসের দুলাল চন্দ্রের কাছে সাবদী জিওধরা এলাকার একটি জমির নামজারী করতে দিলে সেটা হবেনা বলে অনেকদিন ঘুরিয়ে ফেরত দেন।
নায়েব দুলাল চন্দ্র বলেন, চাহিত খতিয়ানে জমি নেই অতএব নামজারী করা সম্ভব নয়। এ জন্য মিসকেস করে আসতে হবে। পরে একই জমির নামজারীর জন্য দালালের মাধ্যমে পুনরায় আবেদন করলে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার নামজারী করে দেয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নামজারির সরকারি ফি ১১শত টাকার কিছু বেশী। কিন্তু জমি বেশী হলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। নামজারী করার এক দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নামজারীর প্রতিটি ফাইল সই করতে এসিল্যান্ডে জন্য নাকি ৪ হাজার টাকা নেন।
কুড়িপাড়া ভূমি অফিসে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতির সংবাদ পাওয়া গেছে। আলীনূর নামের একজন গ্রাহক তার জমির সমস্ত কাগজ দেয়ার পরও তাকে হয়রানি চরম ভাবে করা হয়েছে। তাকে প্রথমে বলা হয় তার জমি নাকি ক তালিকা ভূক্ত। পরে সরকারি গ্যাজেট বহি তল্লাশী করে তার জমি ক তালিকায় ভূক্ত নয় প্রমাণ হলেও তাকে হয়রানি করা হয়। তিনি ২ অক্টোর ও ১০ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ৯ নভেম্বর এসিল্যান্ড এর কাছে আবেদন করেও প্রতিকার পয়নি। তিনি আরো বলেন, তিনি ৪ বার আবেদন করেন ভূমি কর্তকর্তার নির্দেশে যার কেইস নং হয় ১৫৬১, ২১১০/২১১১/২১১২, ও ৩৬১২/৩৬১৯/৩৬২০।
এ ব্যপারে কুড়িপাড়া ভূমি অফিসের নায়েব জাহাঙ্গীর বলেন, আমি যত কাজ করি এসিল্যান্ডের নির্দেশে করি, এর বেশী কিছু বলতে পারব না। আলীনূর জানান, তার অন্য একটি নামজারীর জন্য নায়েব জাহাঙ্গীর ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে নামজারীর করে রাখেন। পরে আরো অতিরিক্ত ১৩ হাজার টাকার জন্য তার নামকারি কফি আটকে রাখেন। পরে তিনি অনলাইন থেকে কাগজ উঠালেও তার জমির খাজনা দিতে পারছেন না। এ বিষয়ে আলীনূর এসিল্যান্ডের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি বরং নানা অযুহাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমন অবস্থা বন্দরের প্রতিটি ভূমি অফিসের চিত্র বলে গ্রাহকরা জানান।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এদিকে গ্রাহকরা ভূমি অফিসের দুর্নীতি উৎপাটনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।