বন্দরে ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সচেতন মহল। বন্দর ইউনিয়নের উলাক এলাকার ভূমিদস্যু খোকনের আগ্রাসনে কারনে ৬/৭ টি পরিবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা আবার নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে খোকনসহ তার বাহিনীর হাতে। খোকনের বিরুদ্ধে ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যার পরও বন্দর থানায় ২ ভুক্তভোগী পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে।
সূত্র মতে, বন্দর ইউনিয়নের বাড়িখালি উলাক এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আস মাহমুদ ওরফে খোকন। যাকে বর্তমানে ভূমিদস্যু খোকন হিসেবে বেশি পরিচিত। তার কবলে পড়ে অনেক পরিবার নিঃশ্ব হয়ে গেছে। অন্যের জায়গা জোরপূর্বক দখল, ভূয়া পর্চা, দলিল দেখিয়ে বা ওয়ারিশের সম্প্রতি নিয়ে এলাকাকে যেন জিম্মি করে রেখেছে। ভূমিদস্যু খোকনের বিরুদ্ধে পিটিশন নং ৯(২৩), ১৪৫ ধারা, পিটিশন ১৭৭(২২) নং ১৮৫ ধারা, পিটিশন ৭(২২), ধারা ১০৭/ ১১৪/১১৭। পিটিশন ১৭৬(২২) নং ধারা ১৮৫। পিটিশন ১০২৮(২২), ধারা ১৪৫। এছাড়া বন্দর থানায় খোকনের বিরুদ্ধে প্রায় ৭/৮ জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। এত অপকর্মের পরও যেন ভূমিদস্যু খোকন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মিরকুন্ডী এলাকার ৩৩ শতাংশ জমির উপর দৃষ্টি এবার ঐ খোকনের। যে জমি আমির হামজা নামে (প্রকৃত মালিক) গত বছরের ১ লা নভেম্বর মাসে ক্রয় করে মোঃ নূরজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী। যার দলিল নং ১০৩৪৮ সাব কবলা রেজিষ্ট্রেশন মূলে ৩৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেও পড়ছে বিপাকে। ওই জায়গা দখলে নেয়ার জন্য নানাভাবে পাঁয়তারাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। জোড় পূর্বক জায়গা দখলের নেয়ার চেষ্টাসহ প্রান নাশের হুমকির ঘটনায় ১০ জানুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী মোঃ নূরজ্জামান বাদী হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদে মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা যায়নি। উলাকের ভূমিদস্যু খোকনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ভুক্তভোগীদের।