বন্দরে ভূমি দস্যুতা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সহিংসতার ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। চিহিৃত ভূমিদস্যুদের হাতে প্রতিদিনই নির্যাতিত হচ্ছে বিভিন্ন পেশার সাধারন মানুষ। এর থেকে বাদ যায়নি প্রবাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউয়িনের জিওধরা এলাকার হাজী আলতাফ প্রধানের ছেলে সদ্য প্রবাস ফেরৎ ছেলে মানিকের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার প্রধানের সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। ঐ সময় উল্লেখিত ভূমিদস্যু দিঘলদী এলাকার বিড়াইল্লাহ মিয়ার ছেলে পিয়ারের নেতেৃত্বে দেলোয়ার চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী আশিক ও অভি, গাড়ী চালক মিন্টু, নাসির ও হুমায়ন সহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন ভূমিদস্যু ধারালো অস্ত্র ও লাঠী সোটা নিয়ে প্রবাস ফেরৎ মানিকে পৈত্রিক সম্পত্তী দখল নিতে উক্ত এলাকায় হামলা চালায়। ঐ সময় হামলাকারিরা প্রবাসী মানিক মিয়ার জমির সাইর্বোড ভেঙ্গে ফেলে এবং বিভিন্ন প্রজাজির কাঠ গাছ ও ফলজ গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসী মানিক মিয়া হামলাকারীদের বাঁধা দিলে হামলাকারীরা তাকেও বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ১টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ঐ সময় সদ্য প্রবাস ফেরৎ মানিকের চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে আহত প্রবাস ফেরৎ মানিক জানান, আমরা সিএস আরএস রেকর্ডে মালিক হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ৬৫ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আছি। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান বিভিন্ন ভাবে আমাদের এই পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের শ্লেটারে তার দেহরক্ষী থেকে শুরু করে গাড়ী ড্রাইভার পর্যন্ত আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের নেওয়ার জন্য আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার্থে ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের আগ্রাসন থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।