বন্দর প্রতিনিধি: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংখ্যালঘু শ্রী সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মহানগর যুবদলের নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল শনিবার ভ’ক্তভোগী শ্রী সঞ্জিত চন্দ্র দাস বাদী হয়ে বন্দর থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দিঘলদী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সাথে একই থানার বন্দর র্যালী আবাসিক এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও হাজরাদী এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে ফজলুল করিম ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মহিন গাঙ্গারী রোড এলাকার আজহার মিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ ও তার স্ত্রী সেলি জোসেফ ও শাহীন গং এর দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় নিরিহ সংখ্যালঘু শ্রী সঞ্জিত চন্দ্র দাস গত ৪ এপ্রিল জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বন্দর থানা ওসিকে র্নিদেশ দেয়। পরে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গত ৫ এপ্রিল অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য মদনগঞ্জ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মসিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তৎসময়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক অভিযোটি পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে গত ৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা মহসিন বাদী ও উল্লেখিত বিবাদীদের নিয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীতে বসে। কাগজ পত্র পর্যালোচনারে এক পর্যায়ে বিবাদী গিয়াস উদ্দিন চৌধূরী, ফজলুল হক ও মাজহারুল ইসলাম জোসেফসহ সকল বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তার সামনে নিরিহ সংখ্যালঘু শ্রী সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে প্রকাশ্যে ফাঁড়ী ভিতরে হত্যার করার হুমকি দেয়। পরে একই তারিখ বিকেলে উল্লেখিত বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সংখ্যালঘু শ্রী সঞ্জিত চন্দ্র সাহা বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে বাড়ির সাইনর্বোড ও ঘরের আসবভাবপত্র ভাংচুর করে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধান করে। সে সাথে হামলাকারিরা ব্রিফকেডসে রক্ষিত ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।