পূজা বিসর্জন দিয়ে বাড়ি ফেরা সময় জয়ন্ত চন্দ্র দাস (১৯) নামে এক যুবককে পথ রোধ করে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে নগদ টাকা ও ৩টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪ কিশোর ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারিরা হলো বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (১৮) বন্দর বাবুপাড়া এলাকার সুধির চন্দ্র সাসের ছেলে সৌরভ চন্দ্র দাস (১৯) সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে রুদ্র হোসেন (১৮) ও সালেহনগর এলাকার সালাম মিয়ার ছেলে সোহান (১৮)।
গত বৃহস্পতিবার ( ৬ অক্টোবর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত নগদ ১ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল সেটসহ ওই ৪ ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ২টায় বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী জয়ন্ত চন্দ্র দাস বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার ৪ ছিনতাইকারিকে আসামী করে বন্দর থানায় দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৮(১০)২২। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৪ ছিনতাইকারিকে শুক্রবার সকালে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ( ৬ অক্টোবর) রাত ২টায় বন্দর থানার ৯৫/২ এস এম সাহা রোডস্থ ঝনেক মালেক মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া মঙ্গল চন্দ্র দাসের ছেলে জয়ন্ত চন্দ্র দাস পূজা বিসর্জন দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বিএম স্কুলের সামনে আসলে ওই সময় উৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারি আবু সাঈদ, সৌরভ, রুদ্র ও সোহান মিলে ওই যুবকের রাস্তা গতিরোধ করে। পরে উল্লেখিত ছিনতাইকারিরা জয়ন্ত চন্দ্র দাসকে বেদম ভাবে পিটিয়ে ৩টি মোবাইল সেট ও নগদ ১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আহত জয়ন্ত ছিনতাইয়ের ঘটনার ওই রাতে বন্দর বাজার এলাকার ডিউটিরত বন্দর থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পরে বন্দর ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক নাহিদ মাছুমসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স বন্দর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৪ ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৪ ছিনতাইকারি দেহ তল্লাশী চালিয়ে ছিনতাইকৃত ৩টি মোবাইল সেটের মধ্য ২টি মোবাইল সেট ও ১ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে।