বন্দরে গনধর্ষনের মামলায় ফাঁসানোসহ সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে ২টি পরিবারের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে শিউলী, লিপি ও বাবু নামে কথিত ৩ সাংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে। গত রোববার (২৩ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে বন্দর কলাবাগস্থ জনৈক আলি মিয়া ও হারুন মিয়ার পরিবারের কাছ থেকে ঐ টাকা হাতিয়ে নেয় উল্লেখিত প্রতারক চক্র। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী দিনমজুরের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, আমার স্বামী আলি মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর কলাবাগ এলাকায় বসাবাস করে আসছি। গত ১৮ অক্টোবর রাতে গনধর্ষনের শিকার হয়ে পোশাক শ্রমিক নারী বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ ভাড়াটিয়া ঘরে অসুস্থ হয়ে পরলে আমিসহ আমার স্বামী ও একই এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী পারভিন মিলে ওই ধর্ষিতা নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় শিউলী, লিপি ও বাবু সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে উল্লেখিতরা আমার স্বামীকে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে গনধর্ষন মামলায় সম্পৃক্ত করার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে গত রোববার (২৩ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে দুই দফায় ৫ হাজার টাকা ও একই সময়ে একই এলাকার পারভিনের কাছ থেকে আরো ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কথিত সংবাদ কর্মী শিউলী, লিপি ও বাবু বিভিন্ন পত্রিকা এমনকি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল এর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বন্দরে উত্তরঞ্চাল থেকে দক্ষিনাঞ্চল পর্যন্ত দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে প্রতারনা করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তসহ উল্লেখিত কথিত সংবাদ কর্মিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংাশ্রষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বন্দরে সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, ১ বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার শিউলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থেকে শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছে আসছে ভূক্তভোগী পোষাক শ্রমিক নারী। গত ৩মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে ভূক্তভোগী নারী সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হয়। একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ডিউটি শেষ করিয়া বন্দর খেয়াঘাট পার হইলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন,বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫’শ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরোদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।