বন্দরে গনধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী লম্পট প্রেমিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৫)কে ২ দিনের রিমান্ড শেষে ফের আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণধর্ষক জাহিদকে পুনরায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক লম্পট জাহিদ বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ এলাকার দ্বীন ইসলাম মিয়ার ছেলে। যার মামলা নং- ৩৩(১০)২২। এর আগে গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ তছলিম উদ্দিন গণধর্ষণ মামলার আসামী জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে মামলার তদন্ত স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে থেকে ২ দিনের রিমান্ডে আনে।
এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা লম্পট প্রেমিক জাহিদ ও তার বন্ধু জাহিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও এ মামলায় বাকি আরো ৭ জন আসামী রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। গণধর্ষণ মামলাকে পুঁজি করে বন্দরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি শিউলী, লিপি ও বাবু সাধারন মানুষকে গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসানের ভয় দেখিয়ে নিরীহ দুই পরিবারের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারনা মাধ্যমে সাধারন মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ দুই পরিবার।
উল্লেখ্য, ১ বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার শিউলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থেকে শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছে আসছে ভূক্তভোগী পোষাক শ্রমিক নারী। গত ৩মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে ভূক্তভোগী নারী সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হয়। একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ডিউটি শেষ করিয়া বন্দর খেয়াঘাট পার হইলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন,বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫’শ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরোদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।