সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বন্দর উপজেলার যেখানে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মত অবাধে গড়ে উঠছে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুল। এমন অভিযোগ করেছে সচেতন মহল। অন্যদিকে অভিভাবক মহল প্রশ্ন তুলেছে বন্দর উপজেলার বেশ কিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানিয়েছে, শিক্ষার মান না থাকলেও বন্দর উপজেলার বেশ কিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অসাধু পরিচালকগণ রয়েছে তারা নতুন বছর এলেই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও বন্দরে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক মহল। বছর এলেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অসাধু পরিচালকগন ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা ক্ষেত্রে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করার জন্য নানা অফার জানিয়ে ভর্তি হওয়ার আহবান জানায়।
বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরে প্রেসক্লাব, খানবাড়ি, বন্দর বাজার, বাবুপাড়া, রুপালী আবাসিক , র্যারী, লেজারার্স, শাহীমসজিদ, নবীগঞ্জ ও সোনাকান্দাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় ও তার আশে পাশে এলাকার প্রধান প্রধান রাস্তা-ঘাট ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ছাত্র ভর্তির ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন রঙবেরঙ এর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বন্দরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বন্দরের অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অবকাঠামো তেমন ভালো নয়। নতুন বছর আসার সাথে সাথে স্কুল পরিচালকগন অভিভাবকদের টার্গেট করে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে ভর্তি বাণিজ্যে মেতে উঠে। তিনি আরো জানিয়েছেন, বন্দরে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের লেখাপড়ার মানের চেয়ে বন্দরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর মান অনেক ভালো।